• ছ’ঘণ্টার নির্মম অত্যাচার সিআইএসএফের
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: রাত ৯টা থেকে ভোর ৩টে-চোর সন্দেহে স্থানীয় দুই যুবককে ছ’ঘণ্টা নৃশংসভাবে পিটিয়েছিল সিআ‌ইএসএফ কর্মীরা। লাঠির পাশাপাশি ফাইবারের কভার দেওয়া বিদ্যুতের তার দিয়েও তাঁদের মারা হয়। ভারী বুট দিয়ে পায়ের গোড়ালি পিষে দেওয়া হয়। কুলটি থানার পুলিসের তদন্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা সিআ‌ইএসএফ কর্মীদের এমনই ভয়ানক অত্যাচারের বিষয়টি উঠে এসেছে। পুলিস জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সিআইএসএফের কাছে ডিউটি রোস্টার ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছিল। ডিউটি রোস্টার খাতা পুলিসকে দেওয়া হলেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এখনও অধরা। ঘটনায় জখম এক যুবক এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেছে পুলিস। তাঁর মাধ্যমেই দোষী সিআইএসএফ কর্মীদের চিহ্নিত করার পথে এগোচ্ছে তারা।সোমবার সকালে কুলটি থানার সেইল গ্রোথ ওয়ার্কস কারখানার গেটের বাইরে গুরুতর জখম অবস্থায় দুই যুবককে পুলিস উদ্ধার করেছিল। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মধ্যে ভিকি রবিদাসকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নামে অপর যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

    সোমবার সকাল থেকেই সিআইএসএফের মারে যুবকদের মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়। কারখানার গেট আটকে বিজেপি ও তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়। দু’পক্ষই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানায়। মৃতের পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সূত্রের খবর, পুরো মারধরের ঘটনায় আটজন সিআইএসএফ কর্মী যুক্ত ছিল। পুলিস সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার পরই তাদের গ্রেপ্তারের পথে এগোতে চাইছে। ওই সিআইএসএফ কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে টিআই প্যারেড করিয়ে চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু সাহাবুদ্দিন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, পুলিস ও সিআইএসএফ একযোগে পদক্ষেপ করে কারখানায় চুরির চক্র ভেঙে দিক। না হলে লোহা মাফিয়াদের ফাঁদে পড়ে অনেক ক্ষেত্রেই গরিব ও নেশাগ্রস্ত যুবকরা কারখানায় লোহা চুরি করতে ঢুকছে। পুলিসের ডিসি সন্দীপ কারার জানান, ডিউটি রোস্টার ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)