• নাবালিকা ধর্ষণে বৃদ্ধকে ২০ বছরের কারাদণ্ড
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক বৃদ্ধের ২০ বছরের কারাদণ্ড হল। শুক্রবার মাথাভাঙা মহকুমা আদালতের বিচারক পকসো আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এই সাজা শোনান। অভিযুক্তের বয়স এখন ৬২ বছর। চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের এই ঘটনার শুনানি হয়েছে দীর্ঘ তিন বছর ধরে। গত বুধবার চূড়ান্ত শুনানির পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। শুক্রবার মাথাভাঙা মহকুমা আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ রায়বসুনীয়া বলেন, ২০২১ সালে মাথাভাঙা-১ ব্লকের হাজরাহাট এলাকায় দুই নাবালিকা একটি দোকানে জিনিস কিনতে যায়। অভিযুক্তই সেই  দোকানের মালিক। তার মধ্যে এক নাবালিকাকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই বৃদ্ধ ধর্ষণ করে। পুলিস তদন্ত করে চার্জশিট দেয়। আদালতে দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। গত বুধবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এদিন বিচারক ২০ বছরের সাজা শোনান। সম্প্রতি জেলায় ২০২১ সালের একটি গণধর্ষণ মামলায় তিন যুবকের ২৫ বছরের জেল হয়েছে। কোচবিহার জেলা দায়রা আদালত অভিযুক্তদের সাজা শুনিয়েছিল। এদিন পকসো আইনে আরও এক অভিযুক্তকে ২০ বছরের সাজা শোনান মহকুমা আদালতের বিচারক। কয়েকদিন আগে মাথাভাঙা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙা থানা এলাকায় ধর্ষণের চেষ্টা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক। তবে এদিন ৬২ বছরের বৃদ্ধের ২০ বছরের সাজা আলোড়ন ফেলেছে মহকুমা জুড়ে। ফলে শেষ জীবন জেলেই কাটাতে হবে ওই আসামীকে। মাথাভাঙা মহকুমা পুলিস আধিকারিক সমরেন হালদার বলেন, হাজরাহাটের একটি ধর্ষণের ঘটনায় আমরা চার্জশিট জমা করেছিলাম। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বিচারক এদিন রায় শোনান। তবে সাজার বিষয়ে আমরা এখনও অফিসিয়াল নথি পাইনি।
  • Link to this news (বর্তমান)