• টাকা দিলে উত্তর না লিখেই পাস, চক্র চালাচ্ছিলেন সন্দীপ ঘোষ, দাবি ইডির
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তর না লিখে শুধু সাদা খাতা জমা দিলেই হল। পাস মার্ক নিতে গেলে গুনতে হবে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। অনার্সের জন্য টাকার অঙ্কটা অবশ্য দ্বিগুণ। আর জি করে দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি সন্দীপ ঘোষ এই সিস্টেমই চালু করেছিলেন। শুধু নিজের কলেজ নয়, রাজ্যের যে কোনও মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষার্থীরা তাঁকে ধরলেই মুশকিল আসান হয়ে যেত। কোন ইয়ারের পরীক্ষায় কত টাকা লাগবে তার চার্টও ঠিক করে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে এমনটাই জেনেছে ইডি। একইসঙ্গে তাঁর এই কর্মকাণ্ড শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে মনে করাচ্ছে। অন্যদিকে, প্রাক্তন অধ্যক্ষের মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দুর্নীতি মামলার তদন্তে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ফাইল উদ্ধার করেছে ইডি। সেই সঙ্গে মিলেছে টাকা আদানপ্রদানের চিরকুট। সেখান থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন সন্দীপ। তবে তিনি নিজে নন, এক ঘনিষ্ঠের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করতেন। শাসক ইউনিয়নের সদস্যদের সিংগভাগই ক্লাস তো দূর, পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে ডাক্তারি পাস করে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব হল তার তদন্ত করতে গিয়ে এজেন্সি জেনেছে, এই ছাত্রদের কাছে সন্দীপবাবুর নির্দেশ ছিল খাতায় নাম ও অ্যাডমিট কার্ড নম্বর লিখে এলেই হবে। ওই খাতায় উত্তর তাঁর ঘনিষ্ঠরা লিখে দেবেন। এরজন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে এলেই হল। প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় পাস মার্কের জন্য রেট ছিল দু’থেকে আড়াই লক্ষ। শেষ বছরে তা গিয়ে পৌঁছত পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। টাকা দিলেই মিলে যেতে পছন্দসই মার্কস। আর জি কর ছাড়াও অন্য  মেডিক্যাল কলেজেও এই কারবার তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে চালাতেন সন্দীপ। এমনটাই দাবি করেছে ইডি। এই টাকার খোঁজ চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)