নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে হামলার ‘রাজনৈতিক’ ছক! পুলিসের হাতে আসা ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপে এই ভয়াবহ ষড়যন্ত্রই ফাঁস হয়ে গেল। শুক্রবার ভাইরাল হয় এই অডিও (সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’)। বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষও সাংবাদিক সম্মেলন করে তা প্রকাশ করেন। পরপর তিনদিন নবান্নের আলোচনার প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে টানাপোড়েন বেড়েছে। একপক্ষ প্রশ্ন তুলছে, সত্যিই কি জাস্টিসের অভিমুখে আর আন্দোলন আছে? এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপটি। স্বাস্থ্যভবন চত্বরে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানের মধ্যে হামলা হলে দায় চাপবে মমতার সরকারের উপরই। সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে। কুণাল ঘোষ এই সুরেই বলেছেন, ‘ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। চরম সাবধানতা দরকার। কেউ অন্য খেলার কথা ভাবছে, যাতে জুনিয়র ডাক্তাররা শেষ হয়ে যায়। ওদের উপর হামলার প্লট তৈরি হচ্ছে। ভয়ঙ্কর কথোপকথন সামনে এসেছে। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে বিপদে ফেলতে বামপন্থী এক যুব সংগঠন ও এক অতি বাম সংগঠনের চক্রান্ত। ঘটনাস্থলে যাতায়াত চলছে বিজেপির যুবদেরও। এই অবস্থায় পুলিস-প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চিহ্নিত করুন। বহিরাগত যেন ঢুকতে না পারে।’
৪০ বছর আগের জ্যোতি বসুর ‘পুলিসি দাওয়াই’ বা এসমার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হাঁটবেন না, তা তিনি বৃহস্পতিবারই পরিষ্কার করে দিয়েছেন। রাজনীতির যে কারবারিরা এই আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষীর খেতে চাইছে, তাদের লক্ষ্য যেভাবে হোক অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, হামলার ছক চলছে। রাজ্যকে অপদস্থ করতে। ইতিমধ্যে বিধাননগর কমিশনারেট এই ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা শুরু করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সঞ্জীব দাস নামে হালতু এলাকার এক ব্যক্তিকে। স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে সিসি ক্যামেরা ও লাইট পোস্ট বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে বাড়তি পুলিস বাহিনী ও র্যাফ।