• বন্দে ভারত ছাড়ল প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে, এনজেপি স্টেশনে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: গুয়াহাটিগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ায় শুক্রবার সকালে বিক্ষোভে উত্তাল হল এনজেপি স্টেশন। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন ছাড়তে কেন দেরি হচ্ছে জানতে চাইলে রেলের আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে  দুর্ব্যবহার করেন। তার প্রতিবাদেই যাত্রীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে এনজেপি স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও তাঁর সহকর্মীরা প্ল্যাটফর্ম থেকে চলে যান। শেষমেষ সকাল ৯টা নাগাদ বন্দে ভারত এনজেপি ছাড়ে। 

    এদিন  সকাল  ৬ টা ১০ মিনিটে এনজেপি স্টেশন থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দিতেই যাত্রীরা উঠে পড়েন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ট্রেন ছাড়েনি। রেলের তরফে কোনও ঘোষণাও ছিল না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর যাত্রীরা স্টেশন সুপারের অফিসে গিয়ে জানতে চান, ট্রেন ছাড়তে কেন দেরি হচ্ছে? যাত্রীদের অভিযোগ, এ প্রশ্ন শুনেই রীতিমতো দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন রেলের আধিকারিকরা। তার প্রতিবাদে যাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বেগতিক বুঝে স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং তাঁর লোকজন কার্যত পালিয়ে যান। রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানানো হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হয়েছে ট্রেন ছাড়তে। যাত্রীদের পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে তা কেন ঘোষনা করা হয়নি? যাত্রীদের অভিযোগ সম্পর্কে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘ইঞ্জিনে  ত্রুটির  কারণে এনজেপি থেকে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে রেলের কেউ দুর্ব্যবহার করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’ 

    এদিন বন্দে ভারতের যাত্রী ছিলেন ত্রিপুরার বাসিন্দা পৌষালি দত্ত। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে  বলেন, ‘বন্দে ভারত দেশের দ্রুততম প্রিমিয়াম ট্রেন। তাই আমরা এই ট্রেনের টিকিট কাটি। ত্রিপুরায় যাওয়ার জন্য গুয়াহাটি থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল আমার। কিন্তু এই ট্রেনই তো আড়াই ঘণ্টার বেশি দেরি করে দিল। ত্রিপুরার ট্রেনটা পাব কি না, জানি না।’  তিনি আরও বলেন, ‘সব থেকে অবাক হয়েছি, ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়া নিয়ে কোনও ঘোষণাই করেনি রেল। যাত্রীরা দেরির কারণ জানতে গেলে উল্টে দুর্ব্যবহার করা হয়। আমরা কোনও সহযোগিতা পাইনি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি  দেখা উচিত।’  মাধব হালদার নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন ছাড়তে দেরি হতেই পারে, কিন্তু সেটা  তো যাত্রীদের জানানো দরকার। আমাদের অনেকের গুয়াহাটি থেকে অন্য ট্রেন ধরার কথা ছিল। এখন কী হবে, ভেবে পাচ্ছি না।’
  • Link to this news (বর্তমান)