• বাংলায় বিদেশি লগ্নির পরিমাণ তিন মাসে ৪৩০ কোটি টাকা
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:  চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাস, অর্থাৎ ২০২৪  সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় ৪৩০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এল বাংলায়। ২০১৯ সালের শেষ দিক, অর্থাৎ করোনাকালের সময় থেকে হিসেব কষলে, চার বছরের বেশি সময়ে বাংলায় আসা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। তারা বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে পরপর তিনটি অর্থবর্ষে এফডিআইয়ের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। তুলনায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল গত বছরের বিদেশি লগ্নি। চলতি অর্থবর্ষের শুরুতে লগ্নির অঙ্ক আশানুরূপ, মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। বছর শেষে তা অনেকটাই বৃদ্ধির আশা করছে তারা। তাদের বক্তব্য, গত অর্থবর্ষে বিদেশি বিনিয়োগে ধাক্কা খেয়েছিল প্রায় সবক’টি রাজ্যেই। তার অন্যতম কারণ বিশ্বজুড়ে কিছুটা আর্থিক মন্দা। বড় অর্থনীতির দেশগুলিতে অনেকটাই ধাক্কা খায় আর্থিক বৃদ্ধি। পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও লগ্নির ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় গোটা বিশ্বেই। এই অবস্থা দ্রুত কেটে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা।

    কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলায় এফডিআই এসেছিল ৩,১১৮ কোটি টাকার। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কিছুটা বেড়ে হয় ৩,১৯৫ কোটি টাকা। তার পরের অর্থবর্ষে সেই হিসেব পৌঁছয় ৩,২১৭ কোটি টাকায়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা হয় ১,৯৩০ কোটি টাকা।

    কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআই ছিল ১,৪০৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ কয়েক বছর আগের হিসেবের দিকে তাকালেই স্পষ্ট, বিগত অর্থবর্ষগুলিতে বিদেশি লগ্নি টানার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়েছে বাংলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের গোড়া থেকে দেশে করোনা বড় রকমের প্রভাব ফেলতে শুরু করে। কিন্তু বিশ্ব বাজারে সংক্রমণের থাবা পড়েছিল তার আগে থেকেই। এফডিআই টানার নিরিখে দেশে একাদশ স্থানে বাংলা। প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাত।
  • Link to this news (বর্তমান)