• সালকিয়ার ফ্ল্যাটে ভুয়ো অনলাইন বেটিং চক্র, পুলিসি অভিযানে গ্রেপ্তার পাঁচজন
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নকল ওয়েবসাইট ব্যবহার করে রমরমিয়ে চলছিল অনলাইন বেটিং গেমের চক্র। শুধু এরাজ্যেই নয়, প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে পড়েছিল পার্শ্ববর্তী একাধিক রাজ্যেও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে হাওড়া সিটি পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ, দশটি মোবাইল ফোন, প্রচুর সিম কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই ও এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    পুলিস অভিযোগ পেয়েছে, বেলুড়ের বাসিন্দা শানুকুমার সিং, মালিপাঁচঘড়ার বাসিন্দা বিজয়কুমার দীক্ষিত, গোলাবাড়ির বাসিন্দা সৈকত পাল, শেখর মেহারিয়া ও হাওড়ার বনবিহারী বোস রোডের বাসিন্দা সতীশ টিব্রেওয়াল সালকিয়ার শ্রীঅরবিন্দ রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে বসে অনলাইন বেটিং গেমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করত। বেশ কয়েকমাস ধরে চলছিল তাদের এই প্রতারণা চক্র। মূলত অনলাইনে ক্রিকেট, পোকারের মতো বিভিন্ন গেমে বেটিংয়ের কারবার নকল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা পরিচালনা করত। সাধারণ মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে এই সমস্ত ভুয়ো ওয়েবসাইটের গেমের ফাঁদে ফেলা হতো। এই ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। এই টাকা সরাসরি জমা পড়তো প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। 

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সালকিয়ার ওই ফ্ল্যাট বাড়িতে হানা দিয়ে পাঁচ অভিযুক্তকেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ওইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও নথিপত্র। অনলাইন বেটিং ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও ধরনের লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি অভিযুক্তরা। এদিন ধৃতদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলার পর নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে বেশ কয়েকমাস আগে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়েছিল। আর্থিক চুক্তির বিনিময়ে ভুয়ো বেটিং ব্যবসায় নামানো হয় তাদের। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে ধৃতরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে হাওড়া সিটি পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)