• বাড়ি ও দোকান সহ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সিসি ক্যামেরার তালিকা তৈরি করছে পুলিস
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: যে কোনও ঘটনার তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিসের নিজস্ব সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন অপরাধের কিনারা করতে এবার ব্যক্তিগত ও বেসরকারি সিসি ক্যামেরাগুলিও কাজে লাগাতে চাইছে বিধাননগর কমিশনারেট। কারণ, কমিশনারেট এলাকার বাড়ি, দোকান, অফিস সহ নানা জায়গায় কয়েক হাজার ব্যক্তিগত বা বেসরকারি ঩সিসি ক্যামেরা রয়েছে। প্রতিটি থানা এখন সেই ক্যামেরার তালিকা বানাচ্ছে। তালিকাটি যেমন থানায় জমা থাকবে, তেমনই থাকবে কমিশনারেটের সদরেও। কোথাও কোনও অপরাধ ঘটলে ওই তালিকা দেখে পুলিস সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারবে। 

    ভিআইপি রোড সহ সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটি, বিমানবন্দর এলাকায় বিধাননগর কমিশনারেটের উদ্যোগে হাই রেজ্যুলেশনের ‘এএনপিআর’, ‘পিটিজেড’ এবং ‘বুলেট’, এই তিন ধরনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তাতে সাফল্যও এসেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই গত বছর লেকটাউন থানা এলাকায় পুলিস মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে দমকলকর্মী খুনের কিনারা করেছিল। কিছুদিন আগে টেকনোসিটি থানা এলাকায় রাস্তা থেকে এক শিশুকন্যাকে বাইকে তুলে অপহরণ করে পালাচ্ছিল এক যুবক। সিসি ক্যামেরায় তাকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সম্প্রতি সল্টলেক সহ কমিশনারেটের একাধিক এলাকায় মোবাইল  চুরির কিনারা করেছে পুলিস। নতুন করে সল্টলেকে আরও সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিস। যদিও তা পর্যাপ্ত নয়। তাই প্রয়োজনে পুলিস বেসরকারি ও ব্যক্তিগত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে চাইছে।

    কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন বেশিরভাগ দোকানেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। বহু বাড়ির বাইরেও ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ফলে শহরের প্রতিটি অলিগলির ফুটেজ চাইলে পাওয়া সম্ভব। প্রতিটি থানার পুলিসকর্মীরা এখন ঘুরে ঘুরে সিসি ক্যামেরার তালিকা তৈরি করছেন। কোন ঠিকানায় দোকান ও বাড়িগুলি রয়েছে, তাও উল্লেখ করা হচ্ছে। এমনকী, কতগুলি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলি লাইভ কি না, কোথাও স্টোরেজ থাকে কি না—সমস্ত তথ্য রাখা হচ্ছে। যে দোকান বা বাড়ির তথ্য নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের জানানো হচ্ছে, প্রয়োজনে আপনাদের সাহায্য নেওয়া হবে।

    এ ব্যাপারে বিধাননগরের যুগ্ম পুলিস কমিশনার বাদানা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, ‘অপরাধের কিনারা করার জন্য আমরা আগাম এই ব্যবস্থা নিয়েছি। সমস্ত দোকান, বাড়ি, অফিসের সিসি ক্যামেরার তালিকা রাখা থাকবে। ঠিকানাও থাকবে আমাদের কাছে। কোনও অপরাধ ঘটলে আমরা এই তালিকা থেকে দেখে নিতে পারব, সেখানে কোথায়, কতগুলি সিসি ক্যামেরা আছে। তারপর তদন্তের জন্য ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারব। এতে তদন্তে অনেকটাই সুবিধা হবে।’ -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)