• পুজোর অস্থায়ী হোর্ডিংয়ে বিজ্ঞাপন সংস্থা, কমিটির নাম বাধ্যতামূলক করল পুরসভা
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শারদোৎসব আসন্ন। ইতিমধ্যে শহর সেজে উঠতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই পুজোর সময়ের অস্থায়ী বিজ্ঞাপনে ছেয়ে যাবে কলকাতা। রাস্তার ধারে বা রেলিংয়ের উপর বাঁশের খাঁচা তৈরির কাজ এখন শেষের পথে। তারপর লাগবে অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ব্যানার। গত বছর পুজোর পর এই বিজ্ঞাপন সরাতে গিয়ে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল কলকাতা পুরসভাকে। তাছাড়া, কোন বিজ্ঞাপন কে বা কারা কোথায় লাগাচ্ছে, তার স্পষ্ট তথ্য না থাকায় কোনও অভিযোগ এলেও তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার পুজোর বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং বা ব্যানারের তলায় বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির নাম রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরসভার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিজয়া দশমীর সাতদিনের মধ্যে খুলে ফেলতে হবে সমস্ত অস্থায়ী বিজ্ঞাপন। তা না হলে পুরসভাই বিজ্ঞাপন খুলে নিয়ে বাঁশ ও অন্যান্য সামগ্রী  বাজেয়াপ্ত করবে। 

    পুজোর সময় এসব বিজ্ঞাপন নিয়ে অভিযোগও কম নয়। অনেক সময় কারও বাড়ি বা জানালা পুরোপুরি আটকে হোর্ডিং, ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুরসভার কাছে অভিযোগ এলে কর্তৃপক্ষ সেগুলি নামানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন কোন পুজো কমিটির আওতায় কোন বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা দিচ্ছে, সেই খোঁজ সহজে মেলে না। পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, প্যান্ডেলের সামনে বা ওই চত্বরে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনও টাকাই পায়নি সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি। অর্থাৎ, কমিটিকে না জানিয়েই হাজারো বিজ্ঞাপনের ফাঁকে একটি হোর্ডিং লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এবার প্রত্যেক বিজ্ঞাপন এজেন্সিকে চিঠি দিয়ে বলা দেওয়া হয়েছে, পুজোর বিজ্ঞাপনে হোর্ডিংয়ে সংস্থার নাম এবং পুজো কমিটির নাম রাখতেই হবে। কোনও অভিযোগ এলে সেই হোর্ডি বা ব্যানার নামানোর ব্যবস্থাও করতে হবে তাদেরকে।’ আরেক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘এ বছর স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, দশমীর পর এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত হোর্ডিং খুলে ফেলতে হবে। তবে এজেন্সিগুলি বাড়তি কয়েকদিন সময় চেয়েছে। সেটি আমাদের বিবেচ্য। কিন্তু গত বছর যেভাবে পুজোর বিজ্ঞাপন না নামানোয় এক-দেড় মাস পর সেগুলি পুরসভাকেই খুলতে হয়েছে, এবার তেমন কিছু বরদাস্ত করা হবে না। নিয়ম না মানলে জরিমানার পথেও হাঁটতে পারে পুরসভা।’
  • Link to this news (বর্তমান)