সন্দীপের শ্যালিকার ফ্ল্যাটে টেন্ডার এবং উত্তরপত্রের নথি পেল ইডি
এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়: এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন ল্যাপটপ। এ বার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলো মেডিক্যাল পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং টেন্ডারের নথিপত্র! আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পাশাপাশি দুর্নীতিরও তদন্ত করছে সিবিআই। একই সঙ্গে আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমেছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চালালেও, বিশেষ কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে আসেনি ইডি আধিকারিকদের। ওই দিনই তদন্তকারীরা যান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এ সন্দীপের বাংলো বাড়িতে। ওই দুই জায়গায় দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে নথিপত্র না পেলেও এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সন্দীপের ল্যাপটপটি উদ্ধার হয়। তা খতিয়ে দেখার পরে কয়েকটি ফোল্ডারে থাকা এক্সেল শিটে টেন্ডারের হিসেব হাতে আসে তদন্তকারীদের। তা থেকে বেশ কিছু সূত্র মেলে।
সূত্রের খবর, এয়ারপোর্ট লাগোয়া ফ্ল্যাট রয়েছে সন্দীপের শ্যালিকা অর্পিতা বেরার। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়। প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশির পরে কালো রঙের ট্রলিতে সব নথিগুলি সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ইডি। গত কয়েকদিন ধরে ওই নথি খতিয়ে দেখার পরে তদন্তকারীরা মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রায় দু’শোটি উত্তরপত্র পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রশ্ন উঠছে, নিজের ফ্ল্যাটে না রেখে কেন শ্যালিকার বাড়িতে উত্তরপত্র এবং টেন্ডারের নথিপত্র রাখা হয়েছিল? কেনই বা সন্দীপ আত্মীয়ের বাড়িতে ল্যাপটপ রেখেছিলেন? তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই নথি এবং ল্যাপটপে থাকা ডিজিটাল এভিডেন্স লুকোনোর জন্য সেগুলি সরিয়ে রেখেছিলেন সন্দীপ।
অভিযোগ, ই-টেন্ডার এড়াতে সন্দীপ এক লাখ টাকার কমে ভেঙে ওয়ার্ক অর্ডার পাশ করাতেন। তা পেতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ঠিকাদাররাই। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দলিলও পাওয়া গিয়েছে তল্লাশিতে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার চিনার পার্কে সন্দীপের পৈতৃক বাড়ি ‘ঘোষ ভিলা’-তে হানা দেয় ইডি। সে সময়ে তাঁর বাবা-মা দিল্লিতে ছিলেন।
সূত্রের খবর, শুক্রবার খবর পেয়ে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেছেন তাঁরা। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। ঘোষ ভিলা থেকেও কিছু নথি মিলেছে বলে ইডি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বেলেঘাটায় তল্লাশি অভিযানের দিন সন্দীপের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আরজি কর নিয়ে যা বলা হচ্ছে, সবই রটনা। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন সন্দীপ। ওকে ভিলেন বানাবেন না।’