• মেডিক্যাল বর্জ্যে পাচার রুখতে বসবে বারকোড
    এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য পাচারের অভিযোগ ওঠার পরে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দপ্তর। সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন কতটা পরিমাণ মেডিক্যাল বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে এবং হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেটা কোথায় যাচ্ছে, তার উপর নজরদারি চালাতে বারকোড ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, পরিবেশ দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে প্রতিটি হাসপাতালে মেডিক্যাল বর্জ্যকে প্রথমে পৃথক করতে হয়। তারপর সেগুলোকে নির্দিষ্ট ক্যারিব্যাগে ভরতে হয়। সেগুলো যাতে একসঙ্গে মিশে না যায়, তার জন্য ক্যারিব্যাগের রং আলাদা করা থাকে। সেই ক্যারিব্যাগের গায়ে এ বার থেকে বার কোড বসানো হবে।

    বার কোড স্ক্যান করলেই ক্যারিব্যাগের ভিতরে কোন ধরনের বর্জ্য রয়েছে, কতটা পরিমাণে রয়েছে, সবটা জানা যাবে। ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের বহু হাসপাতালেই নিয়ম মেনে মেডিক্যাল বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের বায়ো মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্ট রুলস অনুযায়ী মেডিক্যাল বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বার কোড ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যাতে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা ভালো করে নজরদারি চালাতে পারেন।

    যদিও রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালে সেই নিয়ম মানা হয় না। তার ফলে নজরদারিতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। সেই ফাঁক গলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ মেডিক্যাল বর্জ্য বাইরে পাচার হয়ে যায়। তা থেকে লক্ষ লক্ষ রোজগার হয়। আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠেছে।

    স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের ব্যাখ্যা, বার কোড দেওয়া থাকলে হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্ক্যানারে ধরা পড়ে যাবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পুলিশের কাজটাও সহজ হবে। রোগীদের গজ থেকে শুরু করে রক্তমাখা কাপড়, সিরিঞ্জ, গ্লাভসের মতো মেডিক্যাল বর্জ্য অপসারণের জন্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে অনুমোদন নিতে হয়।

    হাসপাতালে কমন-বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি থাকাটাও বাধ্যতামূলক। হাসপাতালে যে তরল বর্জ্য উৎপন্ন হয় সেটাকে পরিশোধন করার জন্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থাকার কথা। অনেক হাসপাতালেই এই সুবিধা নেই।
  • Link to this news (এই সময়)