বিধাননগর পুলিসের দাবি, এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতার কোনও সংশয় নেই। এটা একেবারে সত্যি ঘটনা। এটা হয়েছে। সেটা টেকনিক্যালি যাচাইও করা হয়েছে। অডিয়োর সত্যতাও যাচাই করা হয়েছে। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস আদালতে পেশ করা হবে। পুলিস আরও জানিয়েছে, অডিয়োয় আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। দাদু, সাহেব নামে কিছু নাম উঠে এসেছে। এই নামগুলি কারা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওদিকে এই গ্রেফতারি নিয়ে ধৃত DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত দাবি করেছেন যে, "আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতেই এই গ্রেফতার। নিশ্চিতভাবে কোনও ষড়যন্ত্র আছে।" বাম নেতা ও বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছে, "কুণালকে এই অডিয়ো ক্লিপ কে দিয়েছে? তিনি দাবি করেছেন, আগে কুণাল ঘোষতে হেফাজতে নেওয়া উচিত।"
যার পালটা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, "কণ্ঠ কাদের সেটা তদন্ত করছে পুলিস। তদন্তের প্রেক্ষিতে কলতান সহ ২ জন গ্রেফতার। আমরা বিপদ সম্পর্কে পুলিসকে সতর্ক করেছি। কলতান প্রমাণ করুক, এটা ওর কণ্ঠ নয়। ধরনা মঞ্চে আক্রমণ করার ছক মিলেছে অডিয়োয়।" যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য আবার বলছেন, "কলতানকে আমি চিনি। তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। তিনি এরকম কাজ করার মতো মানুষ নন।"
কলতান দাশগুপ্তর গ্রেফতারিকে 'স্বৈরাতান্ত্রিক' বলেও তোপ দেগেছেন শমীক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, শুক্রবার কুণাল ঘোষ অডিয়ো প্রকাশ করার পর থেকেই 'স' ও 'ক' নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। ওই ফোনালাপে ২ ব্যক্তির একে অপরকে 'স' ও 'ক' বলে সম্মোধন করতে শোনা গিয়েছিল। কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, এদের মধ্যে একজন বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আর আরেকজন অতি বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।