পটচিত্রে মায়ের পুজো, উৎসর্গ করেও হয় না বলি! বির্সজনেও আলাদা নিয়ম হুগলির পালবাড়িতে
প্রতিদিন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সুমন করাতি, হুগলি: দালানে রং লেগেছে। পড়ন্ত বিকেলের কোমল রোদে চকচক করছে। নদীর ফিনফিনে হাওয়া মাথা দোলাচ্ছে ঘাসফুল। বাড়ির কর্তাদের ব্যস্ততাও বেড়েছে বহুগুণ। বছর ঘুরে মা আসছেন হুগলির পাল বাড়িতে।
মা আসছেন তো বটে। তবে কোনও মূর্তি পুজো হয় না এই বাড়িতে। পটচিত্রে আঁকা দেবীর রূপ পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়। মায়ের ভোগে থাকে না কোনও অন্ন। কোনও কালে পশু বলি দেওয়া হয়নি। আজও হয় না।এমনকী ফলও ছেদন করার নিয়ম নেই এই বাড়িতে। কত বছরের এই পুজো? শুরুই বা কী করে?
পালবাড়ির অষ্টম প্রজন্ম জানাচ্ছে, ৪০০ বছর আগে এই পুজো শুরু করেন রাম পাল। তবে প্রথমে এই বাড়িতে দুর্গাপুজো হত না। তাঁদের কুলদেবতা রাধাকৃষ্ণ। সারা বছর সেই পুজো হয়। তাঁর আবার আলাদা ইতিহাস রয়েছে, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সাধু সেবক রাম পালকে কুলদেবতা হিসেবে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি উপহার দেন। নির্দেশ দেন পুজো করার। তবে আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় পালদের পূর্বপুরুষ সেই মূর্তি বন্ধ ঘরে রেখে দেন। এর পরই স্বপ্নাদেশে তাকে কুলদেবতার পুজো করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুরু হয় রাধাকৃষ্ণের পুজো। এবং সেবক রামপাল ধীরে ধীরে বিপুল ধন-সম্পদের অধিকারী হন। তার পরে এই বাড়িতে শুরু করা হয় দুর্গাপুজো।