সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক বৈঠকে ফোনের কথোপকথন প্রকাশ্যে এনে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাতে সল্টলেক উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে দাবি ছিল তাঁর। এর নেপথ্যে বাম-অতিবামদের সুপরিকল্পিত মস্তিষ্ক রয়েছে, এমনই অভিযোগ করেন কুণাল। সেইসঙ্গে সতর্ক করে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনের ধরনামঞ্চে গিয়ে একইভাবে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”যে কেউ যখন-তখন কিছু খাবার দিলে সব খাবেন না।”
শনিবার কুণাল ঘোষ জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার ‘ষড়যন্ত্র’ সংক্রান্ত অডিও প্রকাশ করে সতর্ক করেছিলেন। আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, ওখানে এখন বাইরে থেকে খাবারদাবার যাচ্ছে। কে বলতে পারে, তার সঙ্গে কিছু মিশিয়ে জুনিয়র আন্দোলনে অন্তর্ঘাত করা হবে না? তাঁর এও দাবি ছিল, শাসকদল তৃণমূল আর রাজ্য সরকার, উভয়কে বদনাম করার জন্য বিরোধীরা এই ছক কষছে। আর সেই কারণে পুলিশের কাছেও তিনি আর্জি জানান, স্বাস্থ্যভবনের সামনে ওই ধরনামঞ্চে ‘বহিরাগত’দের প্রবেশে লাগাম টানা হোক। বাইরে থেকে খাবারদাবারও বন্ধ হোক।
কুণাল ঘোষের সেই আশঙ্কার কথাই শনিবার শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি একেবারে ‘মাতৃসুলভ’ বক্তব্য রেখেছেন তিনি। তাঁদের প্রতি সরকার কোনওরকম কঠোর পদক্ষেপ নেবে না, সেই আশ্বাস দিয়েছেন। কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায় প্রভাব পড়ছে, মৃত্যুও হচ্ছে। এসব বাস্তব ছবি দেখেও মুখ্যমন্ত্রী প্রায় অনুরোধের সুরেই বলেন, ”আপনারা নিজেরা আলোচনা করে কাজে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন।” দুর্যোগ মাথায় নিয়ে ধরনায় বসে থাকা চিকিৎসকদের খাওয়াদাওয়া নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী এই সতর্কবার্তা দিলেন। বললেন, আরেকটা কথা। যে কেউ খাবার দিলে, সব খাবার কিন্তু খাবেন না।” আর এতেই স্পষ্ট বোঝালেন, বিরোধী হোক কিংবা সমর্থক, আসলে তিনি রাজ্যবাসীর ‘অভিভাবক’।