ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। এখনও সুবিচারের দাবিতে সরব আন্দোলনকারীরা। দুর্যোগ মাথায় নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে ৪ দিন ধরে টানা ধরনায় (RG Kar Protest) জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওই ধরনা মঞ্চ থেকেই শনিবার ফের ‘রাত দখলে’র ডাক দিলেন তাঁরা।
পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওই দাবিগুলিতে শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দিনভরই কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মাথায় নিয়েই আন্দোলনে রাজ্যবাসী শামিল হতে চলেছেন বলেই মনে করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার সুবিচারের দাবিতে ১৪ আগস্ট স্বাধীনতার মধ্যরাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন রিমঝিম। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড এবং কলেজ স্কোয়্যার – এই তিন জায়গায় মহিলাদের জমায়েতের কথা বলেছিলেন। তাঁকে ব্যাপক সাড়া পান রিমঝিম। প্রায় গোটা রাজ্যে প্ল্যাকার্ড, মোমবাতি হাতে পথে নামেন অগণিত মহিলা। তাতে শামিল হন পুরুষরাও। এর পর দফায় দফায় আরও দুবার ‘রাত দখল’ হয়।
এর আগে ‘রাত দখল’ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “প্রতিদিন রাতে আপনারা যদি রাস্তায় থাকেন, অনেক মানুষের সমস্যা হয়। অনেক এলাকায় অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন। আলো লাগালে তাঁদের ঘুমোতে অসুবিধা হতে পারে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম, রাত ১০টার পর মাইক বাজানো যায় না। তা সত্ত্বেও এসব হচ্ছে প্রায় রোজ। আমরা তো সব ছেড়ে দিয়েছি। এক মাস হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।” তবে তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বহু।