ছাত্রীদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার স্কুল শিক্ষক
এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
একাধিক নাবালিকা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাসুম শেখ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ময়রাডাঙা গোপ্পু মেমরিয়াল স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা করা হয়েছে।ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। স্কুল ছুটির পর একদল ছাত্রী শিক্ষিকাদের কাছে অভিযোগ করে, ওই স্কুলের শিক্ষক মাসুম শেখ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন এবং অনেককে স্পর্শ করার চেষ্টাও করেছেন। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই মাসুম শেখ ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন। বুধবার তা মাত্রা ছাড়ালে ছাত্রীরা অভিযোগ করে স্কুলের শিক্ষিকার কাছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রীদের অভিযোগ জানার পরেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বৈঠক করেন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে। ওই বৈঠকেই অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুম শেখের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত নালিশ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার স্কুলের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরেই গ্রেপ্তার করা হয় মাসুম শেখকে।
যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। জানা গিয়েছে, মাসুম শেখের বাড়ি ফালাকাটার কলেজপাড়ায়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শুনে হতবাক তাঁর প্রতিবেশীরা। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি ও তৃণমূল কংগ্রেসের ফালাকাটা গ্রামীণ ব্লক সভাপতি সঞ্জয় দাস বলেন, 'যদি কেউ অপরাধ করেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে।' স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ফিরোজ খান বলেন, 'এই ধরনের ঘৃণ্য আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সঙ্গত কারণেই পুলিশে অভিযোগ হয়েছে।' ঘটনাটি প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, 'স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয় পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
শনিবারই ধৃত মাসুম শেখকে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।