শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের অদূরে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে আচমকাই উপস্থিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেন তিনি। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাসও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা অত্যন্ত সদর্থক। আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা ৫ দফা দাবি নিয়ে এখনই আলোচনায় বসতে চাইছি সরকারে সঙ্গে।' জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নাস্থল ছাড়ার পর নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই বৈঠকের পরেই তাঁরা তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নাস্থলে আসা প্রসঙ্গে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিভাবক। তিনি যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। তাঁর আমাদের ধর্নামঞ্চে আসাকে স্বাগত জানাচ্ছি।' তাঁর সংযোজন, 'একজন অভিভাবক হিসেবে তিনি যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন তা অবশ্যই থাকা উচিত। কিন্তু কেন ৩৪ দিন পর তা দেখালেন তিনি?' এ দিন ধর্না মঞ্চ থেকেই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন করে গড়া হবে রোগী কল্যাণ সমিতি, জানিয়েছেন তিনি। আর সেখানে থাকবেন সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি এবং পুলিশ থাকবে। হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এ দিন বারংবার আলোচনার পথে হাঁটার জন্য আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথাও বলেন তিনি। এর আগে শর্তের গেরোয় আটকে গিয়েছিল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। শেষমেশ কি আলোচনার পথে হাঁটবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা? এখন সব নজর সেই দিকেই।