সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে দীপ্সিতা লেখেন, 'ধরা যাক কলতান দার কথোপকথন সত্যি। তার মানে দুজনের কেউ একজন রেকর্ড করেছে পুরো বার্তালাপ। এবং সেই এটি চোরকুনাল কে পাঠিয়েছেন।' যেখানে কলতানের গ্রেফতারির পর এই ঘটনায় পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। তারা জানিয়েছিল, আন্দোলনের ব্যাপ্তি দেখে ভয় পেয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কারণেই মূল বিষয় থেকে সকলের নজর ঘোরাতে তথাকথিত ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে। তারা কোনভাবেই স্বীকার করেনি এই অডিয়ো কলতানের হতে পারে। সাধারণত দলের নির্দেশের বাইরে কথা বলেন না সিপিআইএম এর কেউ। কিন্তু দলের বক্তব্যের বাইরে গিয়ে দীপ্সিতা কেন ধরে নিলেন এই অডিয়ো কলতানের? তাহলে কি সিপিআইএম দলের অন্দরের কোন্দল বেরিয়ে এল বাইরে? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টচার্জ বলেন, 'মীনাক্ষী বা দীপ্সিতা কেউই বলেননি এই অডিয়ো কলতানের নয়। তাহলে যেটা বোঝার সেটা বুঝে নিন।'
অন্যদিকে, ওই পোস্টেই কাকে 'খ্যাপা কুকুর' বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি, সেই বিষয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তিনি লিখেছেন, '"মুখ্যমন্ত্রী না দিদি" এই মানবিক মুখোশের আড়ালে আসলে দাঁত নখ বের করা স্বৈরাচারীর মুখ টা ধরা পড়ছে। যারা ক্রমাগত রাষ্ট্রযন্ত্র কে ব্যবহার করে প্রতিবাদের টুটি চেপে ধরছেন। খ্যাপা কুকুরের মতো হয়ে উঠেছেন।' আরজি কর ঘটনার পর প্রথম থেকেই পথে নেমেছেন মীনাক্ষী, দীপ্সিতা সহ বামপন্থী ছাত্র নেতা-নেত্রীরা। মহিলাদের সুরক্ষা, মহিলাদের সম্মানের বিষয় নিশ্চিত করতে বারবার সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। কিন্তু এক্ষেত্রে কাকে 'খ্যাপা কুকুর' বলছেন দীপ্সিতা!