অধীর বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রথম দিন থেকে একটাই দাবি করছিলাম, যারা আন্দোলন করছে তারা আপনার সন্তানসম। তদের ক্ষোভ দুঃখ বুঝতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার উচিত তাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলা। তিনি সে পথে না গিয়ে ছল, কৌশলের আশ্রয় নিলেন। তাদের দৃঢ়তা, সততার কাছে আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হার মেনেছেন। আজকে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে বাংলার মানুষের ক্ষোভ দেখে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেছে। কিন্তু সমস্যা হল কয়লা যেমন ঘসলে পরিষ্কার হয় না ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রী চালাকির আশ্রয় নিয়ে সেখানে গেলেন এবং মিষ্টি কথায় তাদের ভয় দেখানো হল। ছাত্র ছাত্রীদের পাঁচটি দাবির কথা সবাই জানে। তার একটির কথাও আপনি বলেননি যে পুরন করবেন। আজকে বিনীত গোয়েলের উপর এত দুর্বলতা কিসের। ক্ষত যখন ক্যান্সারে পরিনত হয়েছে সেখানে আপনি বার্নল লাগাতে চাইছেন। তাদেরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, সুরক্ষার নামে তাদের ঘিরে দিয়ে সাধারন মানুষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। আপনার চালাকি আমরা বুঝি। মহৎ কাজ করার ঢং করছেন আপনি। ছল, বল, কৌশল ছেড়ে তাদের সাথে বসে কোন চালাকির আশ্রয় না নিয়ে সমস্যার সমাধান করুন।"
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, "মমতা ব্যানার্জিকে বাদ দিয়ে বা তাকে না জানিয়ে কিছু হতে পারে না। এ বাংলায় একটাই পোস্ট বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। তাকে বাদ দিয়ে যদি কোন সিদ্ধান্ত হয় তাহলে এক্ষুনি তার পদত্যাগ করে দেওয়া উচিত। এটা মুখ্যমন্ত্রী হিসবে তার ব্যর্থতা। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র শুনেছি এবার কালা মমতা ব্যানার্জি শুনলাম। অযোগ্যতার সার্টিফিকেট যখন তিনি নিজে দিচ্ছেন তখন তার সরে যাওয়া উচিত বলে মনে করি।"
অন্যদিকে রোগীকল্যান সমিতি ভেঙে দেওয়া নিয়ে অধীর বলেন, "রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়ে অধ্যক্ষদের মাথা করবেন। সে আপনার দলের লোক হবে। সন্দীপ ঘোষের মত লোকেরা মাথা হবে। সন্দীপ ঘোষের বিভিন্ন রূপ আমরা দেখতে পাব। বিষয়টা একই হল।"