রাত নটার পর কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে একে একে বেরিয়ে যান মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাকীরাও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। সেইসময় আন্দোলকারীদের তরফে বলা হয়, আমরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি করেছিলাম। কিন্তু ওঁরা বলেন তা সম্ভব নয়। আমাদের তরফ থেকে বলা হয় তাহলে দুপক্ষকে ভিডিয়োগ্রাফি করতে দেওয়া হোক। তাতেও ওঁরা রাজি নন। সুপ্রিম কোর্ট বললে তা দেওয়া হবে। ওই ভিডিয়োটা আমাদের কাছে থাকবে প্রমাণ হিসেবে।
আন্দোলনকারীদের বোঝাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী বললেন ভিডিয়ো তোমাদের দেওয়া যাবে না। ওই কথা শোনার পর আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম। ভাবলাম মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে অন্তত এসেছেন। আমরা ভাবলাম ঠিক আছে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের প্রতি সম্মান রেখে কোনও ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়াই বৈঠকে বসব। বৈঠকের মিনিটস দিলেই হবে।
ডাক্তারদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ওই কথা শুনে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। তারপর যখন বলতে গেলাম তখন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আর হবে না। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা ২-৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর আলোচনা সম্ভব নয়। আমরা তো এতটা নামলাম। যাতে অচলাবস্থা কাটতে পারে তার জন্য তার জন্য সবকিছু ছাড়লাম। তার পরে আমাদের কী বলা হল? আমাদের বলা হল আপনারা বেরিয়ে যান, নয়তো আপনাদের বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে। এরপর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বেরিয়ে গেলেন। আমরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছি। আমরা আলোচনা করতে এসেছিলাম।কিন্তু আমাদের একপ্রকার ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল। আমরা হতাশ। তবে আশাবাদী।