• মমতার তিনবারের চেষ্টাও বিফল, ভেস্তে গেল কালীঘাটের বৈঠকও
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্ধে ছটায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জটেই আটকে রইল বৈঠক। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির বাইরে এসে আন্দোলনকারীদের একাধিকবার বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেন। তার পরেও খুলল না জট। আন্দোলনকারীদের দাবি বৈঠকের ভিডিয়োগ্রাফি করতে দিতে হবে। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাত নটার পর একে একে অনেকেই বেরিয়ে গেলেন। প্রথমেই বেরিয়ে গেলেন মুখ্যসচিব। তার পরেই বেরিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাকী আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন। এই অবস্থায় আঁচ করা যায় যে সমস্যা সমাধানের জন্য যে বৈঠক তা সম্ভবত হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী ভট্টাচার্য। ধীরে ধীরে বেরিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরাও।

    উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছিল। এবারও সেই একই দৃশ্য। কালীঘাটে বৈঠকের জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও সেই একই জটিলতা। লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি করতে দিতে হবে। ছটায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এক ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যায়। ঘরের দরজায় অপেক্ষা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে বসেননি জুনিয়র ডাক্তাররা।

    বৈঠকের শুরুতেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের সঙ্গে ভিডিয়োগ্রাফার নিয়ে গিয়েছিলেন। তাকেও বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ডাক্তারদের দাবি, গোটা বিষয়টি স্বচ্ছ হওয়া উচিত। তাদেরকেও আন্দোলনকারীদের জবাব দিতে হবে। তাই ভিডিয়োগ্রাফি বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রয়োজন।

    এদিকে, এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তোমরা বৃষ্টিতে ভিজো না। আমরা ভিডিয়োগ্রাফি তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আমরা সবটাই রেকর্ড করব। নিশ্চিন্তে থাকো।  আদালতে মামলা চলছে। আদালত অনুমতি দিলে তোমাদের তা দেব। তোমাদের জন্য আমাদের মুখ্যসচিব সহ অনেকেই অপেক্ষা করছে।  মিটিং না করো তোমরা অন্তত এককাপ চা খেয়ে যাও। ভেতরে এসো।

    মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের বলেন, তোমাদের আসার কথা ছিল ১৫ জন। তোমরা এসছো ৪০ জন। বাড়িতে কি সবার জায়গা হতে পারে? তার পরেও তোমাদের জন্য সব ব্যবস্থা করে রেখেছি। প্লিজ তোমরা এসো। যদি মিটিং করতে ইচ্ছে না করে তোমরা চা খেয়ে যাও। আজকে বৈঠকের কথা তোমাদের কাছ থেকে এসেছিল। কোথাও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা ছিল না। এখানে একটা সিকিউরিটির ব্যাপারও রয়েছে। লক্ষী ভাইবোনেরা শোনো। ভিডিয়ো দিতে পারব না। মিনিটস করে দেব। যারা আসতে চাও তারা এসো। বাড়িতে এসে মিটিং যদি করতে না চান তাহলে চিঠি দিলেন কেন? এত অসম্মান কেন ? অনেক অপমান করছেন আপনারা। আগেও তিনদিন আমি ২ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করেছি। তোমরা ছোট, আমি বড়। আমি আন্দোলন করা লোক। আন্দোলনকে সম্মান দিতে আমি জানি। মানুষের স্বার্থে এসে কথা বলো। আমরা বৈঠকের মিনিটস করে দেব, সই করে দেব। তোমাদের পক্ষ থেকেও সই করবে। তোমাদের সব দাবি তো মানতে পারি না! সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে তোমাদের ভিডিয়ো দেব। হাতজোড় করে বলছি। তোমরা এসে। বাইরে বৃষ্টিতে ভিজো না। ওই কথা বলে মুখ্য়মন্ত্রী ভেতরে চলে যান।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)