আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। জট কাটাতে ৩৫তম দিনে ধরনামঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সব দাবিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পর কি উঠবে ডাক্তারদের কর্মবিরতি? প্রতি মুহূর্তের খবর সংবাদ প্রতিদিন ডট ইনের লাইভ আপডেটে (LIVE UPDATE)।
রাত ২২.০৬: ‘আলোচনার পথ আমাদের তরফ থেকে খোলা রয়েছে’, নবান্ন থেকে ফিরে বার্তা আন্দোলনকারীদের।
রাত ২২.০৬: ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসির গ্রেপ্তারিতে খুশি আন্দোলনকারীরা। জানালেন, ‘মূল দাবি থেকে সরছি না’।
রাত ৯.২১: আন্দোলনকারীদের তরফে দেবাশিস হালদার জানালেন, “স্বচ্ছতা চেয়েছিলাম। আসার পর লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছিলাম। ওঁরা বলল, সম্ভব নয়। দুপক্ষকে ভিডিও করতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি। ওঁদের করা ভিডিওর কপি চেয়েছিলাম যাতে বুঝতে পারি কোনও এডিট-ট্যাম্পারিং করা হয়নি। ওঁরা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ভিডিও দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বৈঠকের মিনিটস দেওয়া হবে। চেয়ারের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু যখন জানাতে গেলাম স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর হবে না। চলে যান।” অভিযোগ, রীতিমতো ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, সদিচ্ছা কোন তরফের নেই?
রাত ৯.১৯: মুখ্যমন্ত্রীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন চিকিৎসকরাও। কালীঘাটে We Want Justice স্লোগান শুরু।
রাত ৯.১২: আন্দোলনকারীদের সামনে থেকে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
রাত ৮.৪০: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বসে আন্দোলনকারীরা।
রাত ৮.২০: আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত। বৃষ্টিতে কাকভেজা আন্দোলনকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘মা’য়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারী বৃষ্টির মধ্যেই ঘর থেকে বেরিয়ে আন্দোলনকারীদের তিনি বললেন, “লক্ষ্মী ভাইবোনেরা আমার, বৃষ্টিতে ভিজো না। প্লিজ এসো তোমরা। মিটিং করতে ইচ্ছে না করে এক কাপ চা খেয়ে যাও। আমার কাছে শুকনো জামাকাপড় আছে, বৃষ্টিতে যারা ভিজেছো তাঁরা নাও। আমি তোমাদের দিয়ে দিচ্ছি।” মমতার আবেদন, “লক্ষ্মী ভাইবোনেরা আমার, মানুষের স্বার্থে এসো। কথা বলো। তোমরা কথা না বলতে চাইলে বৃষ্টিতে ভিজো না।” তিনি আরও বলেন, ” তোমরা কথা বলতে চেয়েছিলে, তাই ডেকেছি। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা আগে বলোনি। সিকিওরিটির বিষয় তো আছে। আমি মিনিটস করে দেব। তাতে আমি, আমার সরকার স্বাক্ষর করে দেবে। আমি আজ ভিডিও দিতে পারব না। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে ভিডিও আমি দেব।” পরিশেষে তাঁর প্রশ্ন, “এত অসম্মান কেন করছো? দুদিন ধরে ২ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করেছি। কেন এত অসম্মান করছ? অনুরোধের সুরে বলছি, এখন রাজনীতি বন্ধ করো।”
রাত ৮.০৩: জুনিয়র ডাক্তারদের বোঝাতে উদ্যোগী মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। ৪৮ ঘণ্টা আগে নবান্নের ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
রাত ৮.০০: নবান্নের পর কালীঘাটের বৈঠকে জট। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিওগ্রাফিতে আপত্তি রাজ্য সরকারের। যার দরুণ বৈঠক এগোয়নি বলেই দাবি সূত্রের। সাংবাদিক সম্মেলন করে আন্দোলনকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন হাই সিকিওরিটি জোন। নিরাপত্তার জন্য সেখানে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব না। এর পর ডাক্তারি পড়ুয়ারা ভিডিওগ্রাফির দাবি করেন। তাঁদের সঙ্গে আসা ভিডিওগ্রাফারকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাতেও রাজি হয়নি রাজ্য সরকার। এর পর পড়ুয়াদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যে ভিডিও করা হচ্ছে, বৈঠক শেষে সেই ভি়ডিও-র কপি আন্দোলনকারীদের দিতে হবে। তাতেও রাজি হয়নি রাজ্য। ফলে বৈঠক আর এগোয়নি। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট দাবি, স্বচ্ছতার প্রশ্নে তাঁরা পিছু হঠবে না। বৈঠকে কী কথা হল তা জানার অধিকার রয়েছে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অপেক্ষারত আন্দোলনকারীদের।
সন্ধে ৭.৪৪: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢোকার পর প্রায় ৪৪ মিনিট পার। শুরু হয়নি বৈঠক। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা।
সন্ধে ৭.০০: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন আর জি করের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। একইসঙ্গে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন, দাবি-দাওয়ার দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান হোক, সেটাও চান বলেই জানালেন তাঁরা।
সন্ধে ৬.৩৯: ‘অভয়া’র বিচার চেয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি আগামী কাল অর্থাৎ রবিবার থেকে ১২ ঘন্টা করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সন্ধে ৬.১৫: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। থাকবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।
বিকেল ৫.২০: জুনিয়র ডাক্তারদের কালীঘাটের বাড়িতে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই সন্ধে ৬টায় বৈঠক। জানা গিয়েছে, আলোচনায় ১৫ জন চিকিৎসক সদস্যকে ডেকে ইমেল করা হয়েছে। কাটবে জট?
বিকেল ৪.৩০: মুখ্যমন্ত্রীর সদার্থক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ইমেল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জানালেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আজকের পদক্ষেপ ইতিবাচক। আমরা আলোচনায় বসতে রাজি। যখন, যেখানে উনি সময় দেবেন, সেখানেই যাব। আমরা নবান্নে মেল করে তা জানিয়েছি। অপেক্ষা করছি, কখন নবান্ন থেকে সময় দেওয়া হবে আমাদের। ৫ দফা দাবি থেকে সরছি না।”
দুপুর ২.০০: জুনিয়র ডাক্তারদের জিবি বৈঠক শুরু।
দুপুর ১.১৫: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনামঞ্চ গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হল। খোলনলচে বদলে নতুন করে তা গঠন করা হবে। সেই সমিতিতে থাকবেন ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সরা। থাকবেন পুলিশ আধিকারিকও।
দুপুর ১.১০: মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নয়, বড় দিদির মতো এসেছি।”
দুপুর ১.০০: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনামঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।