অর্ণব দাস, বারাকপুর: ৩৫ দিনের মাথায় স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন আর জি করের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। একইসঙ্গে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন, দাবি-দাওয়ার দ্রুত সুষ্ঠ সমাধান হোক, সেটাও চান বলেই জানালেন তাঁরা।
শনিবার বিকেলে সোদপুর নাটাগড়ের নির্যাতিতার বাড়ির কাছ থেকে ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিল শুরুর পর কিছুটা সময় উপস্থিত ছিলেন মৃতার মা-বাবা। তখনও আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সেই মিছিল শুরুর সময়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিহত চিকিৎসকের মা বলেন, “ডাক্তারি পড়ুয়ারা যে দাবি রেখেছেন সেটা শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন, এটা খুবই ভালো। আমরা স্বাগত জানাই। এবার চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সুষ্ঠভাবে সমাধান করুক, এটাই চাই। কারণ, আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা খুবই কষ্ট পাচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত নবান্ন সভাকক্ষে অপেক্ষা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ১৫ জন আন্দোলনকারীর আসার কথা থাকলেও এসেছিলেন ৩৪ জন। মুখ্যমন্ত্রী তা মেনেও নেন। কিন্তু আর জি কর কাণ্ড বিচারাধীন বিষয় বলেই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি মানা রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এনিয়ে নিজেদের শর্তের জেদে অনড় থেকে নবান্নে এসেও বৈঠকে যোগ দেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেদিনের বৈঠক না হওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তিনি চান না। তিনি চান তিলোত্তমা বিচার পাক। এনিয়ে মৃতার বাবার জবাব, “পদত্যাগ করলে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে। মুখ্যমন্ত্রী কী ভেবে একথা বলেছেন জানি না।” একইসঙ্গে ধরনা মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে মৃতার মায়ের সংযোজন, “উনি বলছেন, যদি কেউ দোষী থাকে সাজা পাবে। দোষী তো সবাই, প্রশাসন, স্বাস্থ্যদপ্তর সবাই দোষী।”