• কলতান–সঞ্জীবের একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজত, ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিশিযাপন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘‌উই ওয়ান্ট জাস্টিস’‌। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। তার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় একটি অডিয়ো ক্লিপ। যেটা যাচাই করেছে কলকাতা পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করেনি। ওই অডিয়ো ক্লিপের সঙ্গে গলা মিলে যাচ্ছে কলতান দাশগুপ্ত এবং সঞ্জীব দাসের। এঁদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। আর জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাঁরা বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনা সামনে আসতে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

    আজ, শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত হওয়ায় স্বাগত জানান তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, দিদি হিসাবে এসেছেন বলার পর বরফ অনেকখানি গলেছে। তাই আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল সঞ্জীব দাস, কলতান দাশগুপ্তদের। আজ, শনিবার বিধাননগর আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। এদের বিধাননগর আদালত থেকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    আজ, শনিবার স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অচলাবস্থা কাটানোই লক্ষ্য। কিন্তু ততক্ষণে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত। সঞ্জীব দাসও বাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সৌমজিৎ রাহা, ফৈয়াজ আহমেদ খান। আর সরকারি আইনজীবী ছিলেন দেবাশিস রায়। আদালত কক্ষে অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ‘‌ভয়েস স্যাম্পল কালেক্ট করার জন্য অভিযুক্তকে হেফাজত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হোক। ১৪ দিনের হেফাজত কেন চাওয়া হচ্ছে?‌’‌

    পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই দাবিগুলি নিয়ে আজ শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই খবর আসে হামলার ছক কষায় গ্রেফতার হয়েছেন কলতান দাশগুপ্ত, সঞ্জীব দাস। আজ সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় আদালতে বলেন, ‘কে সাহেব, কে দাদু, সেটা জানতে হবে। তাই পুলিশ হেফাজত চাই। এমনকী আরজি কর হাসপাতালে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে সেটাও তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে।’‌ দু’‌পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারক নিশান মজুমদার ধৃতদের একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আজ সেখানেই রাত কাটবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)