এই সময়: পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রাজি হয়েছিল। কিন্তু, নার্কো অ্যানালিসিস টেস্টের জন্য বেঁকে বসল আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। প্রশ্ন উঠছে, সিবিআই কি তার সম্মতি না নিয়েই এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল? যদিও সিবিআইয়ের দাবি, সঞ্জয় প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছিল।কিন্তু পরে দেখা গেল, সে বেঁকে বসেছে! সূত্রের খবর, এ সপ্তাহেই দু'বার প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। আরজি করের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। ধৃত সিভিকের পলিগ্রাফ টেস্টের পর যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তা ধোঁয়াশায় ভরা। সেখান থেকে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সে কারণেই সঞ্জয়ের নার্কো টেস্টের কথা বলা হয়।
এজেন্সির একটি সূত্রে দাবি, প্রাথমিক ভাবে এই টেস্টে সম্মতি দিয়েছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু আদালতে হঠাৎই বেঁকে বসে সে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন সুর বদলাল ধৃত সিভিক? সে কি কাউকে আড়াল করার চেষ্টায় নার্কো টেস্টের জন্য সম্মতি দিল না? এমন সম্ভাবনার কথা কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
তবে, এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সঞ্জয়ের আইনজীবী কবিতা সরকার। এর আগে আদালতে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনায় জড়িত নন বলে জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সঞ্জয়ের 'টিথ ইমপ্রেশন' নেওয়া হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে তা।
কিন্তু নার্কোর ক্ষেত্রে সঞ্জয়ের বয়ান নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বয়ান বদল করছে সে। মঙ্গলবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা তদন্তকারী এজেন্সির।