• ভাদ্রের হাঁসফাঁস গরমে স্বস্তির বৃষ্টি উত্তর ও গৌড়বঙ্গে
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: অবশেষে কাঠফাটা রোদের হাত থেকে রেহাই মিলল উত্তরবঙ্গের। শুক্রবার রাত থেকে উত্তর ও গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে উষ্ণতার পারদ কিছুটা নামল। দাবদাহের হাত থেকে রেহাই পেল গোটা উত্তরের মানুষ। সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রবিবারও উত্তর ও গৌড়বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায় হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

    শুক্রবার রাত থেকেই শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও মাঝারি আবার কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শিলিগুড়ির একাধিক এলাকায় সেই বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, দুই দিনাজপুরের একাধিক এলাকাতেও হালকা থেকে মাঝারি আবার কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন দুপুরে মালদহ ও সংলগ্ন এলাকায় অল্প বৃষ্টির পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। রায়গঞ্জে সকাল ও দুপুরের বৃষ্টিতে হাঁসফাঁস অবস্থার বদল হয়েছে। বালুরঘাটে শুক্রবার রাতে ভারী বৃষ্টির পর শনিবারও দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। 

    সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, আজ রবিবার দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ থাকবে। কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি, এমনকী ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা করা হয়েছে।

    আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর উপকূলে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তার পরোক্ষ প্রভাবেই জলীয়বাস্প উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে। তার জেরে শুক্রবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতের প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে বাগডোগরায় গাছ ভেঙে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। বাড়ির উপর গাছ ভেঙে পড়ায় এক বৃদ্ধ কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছেন। শুক্রবার রাতে বাগডোগরা সংলগ্ন চৌপুকুরিয়ার হালাল বস্তিতে একটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবাও ব্যাহত হয়। এরই মধ্যে শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের পেটলা নেওড়া গ্রামে দমকা হাওয়ায় ঘরের চাল ভেঙে দু’জন জখম হয়েছেন। গ্রামেরই সোহরাব মিয়াঁর বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময়ই ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ঘরের চাল ভেঙে পড়ে। এতে সামান্য জখম হয়েছেন দু’জন। বাড়ির মালিক সোহরাব মিয়াঁ বলেন, ভগবান সহায় তাই অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।   শিলিগুড়িতে স্বস্তির বৃষ্টি। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)