• ইটাহারে পাঁচ টাকা না পেয়ে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ইটাহার : মায়ের কাছে পাঁচ টাকা চেয়েছিল। না দেওয়ায় মাঠ থেকে বাড়ি চলে আসে মেয়ে। বারান্দায় গলায় গামছা দেওয়া অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এরপর ওঝা ডেকে দীর্ঘক্ষণ মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ইটাহার থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। 

    শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহারের তিলনা পূর্বপাড়া এলাকায়। মৃতের বাবা ও মা দিনমজুর। তাঁদের ৬ বছরের পুত্রসন্তানও আছে। দুর্গাপুর অঞ্চলের পাহারাজপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও নাবালিকার বাবা কয়েক বছর   সপরিবার তিলনা পূর্বপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। 

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে কাজে গিয়েছিলেন মৃতের বাবা। এরপর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৮টা নাগাদ অন্যের জমিতে কাজ করতে যান মা। মাঠে মেয়ে ৫ টাকা আবদার করলেও দিতে রাজি হননি মা। তারপরেও টাকার জন্য জেদ করতে থাকলে মা বকাবকি করেন। এরপর কিছু না বলে বাড়ি চলে আসে নাবালিকা। কিছুক্ষণ পর নাবালিকার ছোট ভাই দিদিকে ঝুলতে দেখে মাকে গিয়ে জানায়। 

    নাবালিকার মা বলেন, পাঁচ টাকার জন্য মেয়ে অভিমানে এই কাজ করল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা ওঝাকে ডেকে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। এরপর খবর দেওয়া হয় ইটাহার থানায়। পুলিস দেহ উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

    পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)