ওএমআর শিটে পরীক্ষা দিতে গিয়ে সমস্যায় একাদশের পড়ুয়ারা, বিতর্ক
বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায় নয়া সমস্যা। ওএমআর শিটে উত্তর লিখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই ভুল বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের অভাবের কারণে নয়। ওএমআর শিট সম্পর্কে অনভিজ্ঞতাই আসল কারণ। অন্তত ২০ শতাংশ স্কুলে এমন ঘটনা ঘটছে বলে শিক্ষকমহল সূত্রে খবর। শিক্ষকদের আশঙ্কা, ওএমআর শিটে সড়গড় না হলে পরবর্তী কালে সমস্যায় পড়বে তারা। দ্বাদশ শ্রেণিতে ওএমআর শিটেই পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। সেখানে পদ্ধতিগত ভুল থাকলে সঠিক উত্তর লিখেও অকৃতকার্য হতে পারে পড়ুয়ারা।
বনগাঁর একটি স্কুলের শিক্ষক বলেন, ‘পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখলাম অদ্ভুত পরিস্থিতি। অনেকেই রোল নম্বর লিখতে গিয়ে ভুল ঘর পূরণ করে ফেলছে। আবার জানা উত্তর যেটা রাফ করার সময় ঠিক লিখছে সেটাই ওএমআর শিটে তুলতে গিয়ে ভুল ঘরে লিখে ফেলছে। এতে বহু ওএমআর নষ্ট হচ্ছিল। অগত্যা স্কুল বলেছে, যেহেতু এগুলির কম্পিউটারভিত্তিক মূল্যায়ন হবে না, ভুলটা কেটে সঠিক জায়গায় লিখুক তারা। শিক্ষকদের আশঙ্কা, উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে যেহেতু মূল্যায়ন হবে স্বয়ংক্রিয়, সেখানে আর কাটাকুটি করার সুযোগ থাকবে না। শিক্ষকদের তরফে সংসদে আবেদন জানানো হচ্ছে, আগে যেমন প্রশ্নপত্র পড়ার সময় দেওয়া হতো তেমনই ওএমআর শিটে নাম বা রোল নম্বর লেখার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হোক। অনেকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আরও বেশি ভুল করে ফেলছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং বিক্রি করেছে। তার অন্যতম হল, অ্যাডভান্সড সোসাইটি অব হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস। সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য তো পর্যাপ্ত সাবজেক্ট টিচার থাকতে হবে। বহু স্কুলেই তা নেই। আর কম সংখ্যক পড়ুয়ার স্কুলে প্রশ্নপত্র তৈরির ইউনিট পিছু খরচ বেশি হয়। তাই তারা আমাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনছে।’ তাঁর বক্তব্য, প্রশ্নপত্র তৈরির নির্দেশ দিলেও সংসদ কোনও টাকা দিচ্ছে না। স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল প্রশ্নপত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিলে সংসদ আটকাতে পারে না। তাছাড়া এ ধরনের প্রশ্নপত্রে বাড়তি ওএমআর শিট থাকছে। ফলে কোনও ভুল হলেও তা পাল্টে দেওয়া যাবে।