• একটি বাঁশ আঁকড়ে সমুদ্রে ভেসে টানা ২০ ঘণ্টা, ভারতীয় জলসীমায় ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ এক
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাংলাদেশের ডুবে যাওয়া ট্রলার এফ বি কৌশিকের ১২ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। এখনও একজন নিখোঁজ। তাঁর নাম ইব্রাহিম তালুকদার (৪০)। এঁরা বাংলাদেশের পটুয়াখালি জেলার বাসিন্দা। শনিবার উদ্ধার করার পর মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমার ফেরি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। রবিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর পেয়ে এফ বি পারমিতা ফাইভ নামক ভারতীয় একটি ট্রলার সমুদ্র থেকে উপকূলের দিকে ফিরে আসছিল। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা বেশ কয়েকজনকে সমুদ্রে ভাসতে দেখেন। তাঁরা জলে নেমে ভেসে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশের মৎস্যজীবী। 

    পারমিতা ট্রলারের কর্মী প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘গত বুধবার মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। দুর্যোগ থাকায় বৃহস্পতিবারই উপকূলে ফিরে আসছিলাম। তখন দু’জনকে সমুদ্রে ভাসতে দেখি। তাঁদের উদ্ধারের পর জানতে পারি আরও কয়েকজন সমুদ্রে ভাসছেন। ট্রলার একটু এগতেই দশ জনকে একটি বাঁশ ধরে ভেসে থাকতে দেখি। তাঁদেরও উদ্ধার করা হয়। নিজেদের জামা-প্যান্ট তাঁদের পরতে দি। খাবারদাবার খাইয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয় তারপর।’ মহম্মদ মানিক সিকদার নামে উদ্ধার হওয়া এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবী বলেন, ‘গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের মইপুর থেকে মাছ ধরার জন্য ট্রলার নিয়ে ১৩ জন সমুদ্রে গিয়েছিলাম। সমুদ্র উত্তাল থাকায় বুধবার রাতে উপকূলের দিকে ফিরছিলাম। হঠাৎই রাত দশটা নাগাদ ট্রলার উল্টে যায়। একটি বাঁশ ধরে ১২ জন একসঙ্গে ভেসেছিলাম। একজনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রায় কুড়ি ঘণ্টা সমুদ্রে ভেসে থাকার পর ভারতীয় একটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করেছে।’ সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা পাথরপ্রতিমা থানার অধীনে রয়েছে। সবাই সুস্থ আছেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)