• ডিএলএড থাকলেও প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ ডিগ্রি হিসেবে বিএড লিখে ফাঁপরে​​​​​
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিএড ও ডিএলএড, দু’টি ডিগ্রিই ছিল। কিন্তু বিএড ডিগ্রি উল্লেখ করেই প্রাথমিক টেটে অংশ নিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের জন্য সেই ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য নয়। তাতেই ফাঁপরে পড়েন ওই প্রার্থীরা। এরপর বিএড-এর বদলে ডিএলএড-কে প্রশিক্ষণ ডিগ্রি হিসেবে মান্যতা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন তাঁরা সেই দাবি উড়িয়ে দেয় পর্ষদ। তখন বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই আবেদনের শুনানির পর মামলাকারীদের ক্ষেত্রে তাঁদের ডিএলএড ডিগ্রিকেই মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।   

    ২০২২ সালের টেটে ১২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় একমাত্র ডিএলএড-কেই প্রাথমিকে প্রশিক্ষণ ডিগ্রি হিসেবে মান্যতা দিতে হবে। ডিএলএড ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তার বদলে বিএড উল্লেখ করাতেই বিপত্তির সূত্রপাত। বিচারপতি সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু তাঁরা বিএড-কে প্রশিক্ষণ ডিগ্রি হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাই এখন আর ডিএলএড-কে প্রশিক্ষণ ডিগ্রি হিসেবে দেখানো সম্ভব নয়। মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়, আবেদনের সময় বিএড গ্রহণযোগ্য ছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্ট শুধু ডিএলএডকে মান্যতা দেয় এবং জানিয়ে দেয় ডিএলএড ডিগ্রি থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রাথমিক স্তরে প্রশিক্ষিত হিসাবে মান্যতা দিতে হবে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিচারপতি সিনহা জানিয়ে দেন, ওই প্রার্থীদের ডিএলএড ডিগ্রিকে প্রশিক্ষণ ডিগ্রি হিসেবে মান্যতা দিতে হবে। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মামলাকারীদের সংযুক্ত করে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিকল্প প্রশিক্ষণ ডিগ্রিকে মান্যতা দিয়েই ওই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)