• ফের রাতদখলে চূড়ান্ত নাকাল আমজনতা, শহরজুড়ে ক্ষোভ
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার রাতে ফের ‘জাস্টিসের’ দাবিতে ‘রাতদখল’। যার জেরে উত্তর কলকাতায় চূড়ান্ত হয়রানির শিকার আমজনতা। টালা ব্রিজ, বি টি রোড, সোদপুর রোড, সিঁথির মোড় সহ বিভিন্ন মোড়ে তীব্র নাকাল মানুষ। সপ্তাহান্তে বাড়ি ফিরতে গিয়ে কাউকে এক ঘণ্টা, কেউবা দু’ঘণ্টার বেশি সময় বাসেই বসে রইলেন। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ হেঁটেই ছাতা মাথায় বাড়ি ফিরতে শুরু করলেন। খেদের সুরে তাঁরা বললেন, এই হয়রানি থেকে আমরা ‘জাস্টিস’ চাই! 

    আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর প্রথম রাতদখল কর্মসূচি হয় ১৪ আগস্ট। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি হয়। কিন্তু এরপর থেকে জাস্টিসের দাবি তুলে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চলছে রাস্তা আটকে রাতদখল। আর রাতে এই কর্মসূচিতে কার্যত তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ। শনিবার সকাল থেকে আর জি কর ইস্যু নিয়ে তোলপাড় চলে। এদিন রাতে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের গ্রেপ্তারের পরেও কিন্তু রাতদখলের কর্মসূচিতে লাগাম পড়েনি। এদিন রাতে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় শহর ও শহরতলির একাংশ। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক যাত্রীবাহী বাস। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়ি, লরি দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ কেউ ঘুরপথে গন্তব্য পৌঁছতে চান। কিন্তু তাতেও বেগ পেতে হয় মানুষকে। বি টি রোড, টালা ব্রিজ, সিঁথির মোড় সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চূড়ান্ত হয়রানিতে পড়তে হয়। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে রাতদখল-এই দুই সাঁড়াশি চাপে অতিষ্ট অবস্থা। যানজটের জেরে অনেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। 

    এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিশির দাস বলেন, ‘টালা ব্রিজে আমি ২ ঘণ্টার বেশি সময় যানজটে আটকে রয়েছি। প্রতিদিন রাত দখলের মানে কি, বুঝি না। একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে রাতদখলে নাজেহাল অবস্থা হাজার হাজার মানুষের। তাহলে আমাদের এই যন্ত্রণার জাস্টিস হবে কীভাবে?’ এদিকে পিউ সামন্ত নামে এক আইটি কর্মী বলেন, ‘অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে। আমার কাছে থাকা  পানীয় জল শেষ। খাবারও নেই। সপ্তাহান্তে গোটা কলকাতার মানুষ অতিষ্ট। কেউ যদি আচমকা অসুস্থ হন তাহলে তাঁকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে। এর একটা বিহিত প্রয়োজন।’   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)