নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে মৃত্যু হল আরও এক রোগীর। এমনই অভিযোগ মৃতের বাড়ির লোকজনের। দক্ষিণেশ্বরের আলমবাজারের বাসিন্দা যুগল প্রসাদের মৃত্যু হয় বাড়িতে। বাড়িতে পড়ে যাওয়ার পর সঙ্কটজনক অবস্থায় যুগল প্রসাদকে ৪ সেপ্টেম্বর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, পড়ে যাওয়ার পর থেকেই কথাবার্তা অসংলগ্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁর। জ্বর এসেছিল। তা সত্ত্বেও ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর বউমা সুস্মিতা প্রসাদ শনিবার বলেন, ‘৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আমরা শ্বশুরমশাইকে নিয়ে আর জি করের ইমার্জেন্সিতে যাই। ওইরকম সঙ্কটজনক অবস্থায় আমাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় আউটডোরে। সেখানে দেখানোর পর বলা হয়, ওষুধ লিখে দিচ্ছি, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ান। এখন ভর্তি সম্ভব নয়। এরপর আমরা বাড়িতে নিয়ে গেলে অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। মারা যান উনি।’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আর জি কর-এর সুপার তথা উপাধ্যক্ষ ডাঃ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি।