• ভরদপুরে এস এন ব্যানার্জি রোডে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ব্যক্তির হাত
    বর্তমান | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিস্ফোরণে হাত উড়ে গেল এক ব্যক্তির। শনিবার দুপুরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তালতলা থানার এস এন ব্যানার্জি রোডে। জখম ব্যক্তির নাম বাপি দাস (৫৮)। তাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জঞ্জাল থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ করেন। তাঁর আদি বাড়ি ইছাপুরে হলেও বর্তমানে তিনি  এস এন ব্যানার্জি রোডের ফুটপাতেই থাকতেন। কলকাতা পুলিসের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এই খবর জানিয়েছেন।  

    এদিন দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ এস এন ব্যানার্জি রোড এবং  ব্লোচম্যান স্ট্রিটের মুখে জঞ্জাল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করছিলেন বাপি দাস। হাতের সামনে থাকা একটি  প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের মুখ খুলতে যান বাপি। তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। জোরালো শব্দে কেঁপে ওঠে চারদিক। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় পথচারী থেকে দোকানিদের মধ্যে। ধোঁয়া সরতেই দেখা যায় রক্তাক্ত বাপির ডান হাতের কবজির নীচ থেকে উড়ে গিয়েছে।

    বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে আসে তালতলা থানার পুলিস। পুলিসই জখম বাপি দাসকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থলে আসে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। তদন্তের স্বার্থে বিস্ফোরণস্থল ঘিরে দিয়েছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই প্লাস্টিকের ব্যাগেই রাখা ছিল বিস্ফোরক। ব্যাগ খোলার সময় হাতের চাপে তা কোনওভাবে ফেটে যায়। 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, ব্যাগে দেশি (ক্রুড) বোমা রাখা ছিল। সম্ভবত দুষ্কৃতীদের কেউ জঞ্জালের স্তূপের মধ্যে তা ফেলে দিয়েছিল। বিস্ফোরকের প্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের তলব করা হয়েছে। 

    পাশাপাশি এই ঘটনায় তালতলা থানার পুলিস অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম বাপি দাসের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। এদিকে, এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যদিও দেশের যে কোনও প্রান্তে বিস্ফোরণ হলে এনআইএ নিজে থেকেই তদন্ত করতে পারে। সেজন্য কারও অনুমতি দরকার নেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)