স্টাফ রিপোর্টার: আর জি কর কাণ্ডের পর গোটা বাংলাজুড়ে চলছে ‘রাতের দখল অধিকার দখল আন্দোলন।’ মেয়েদের ‘রিক্লেইম দ্য নাইট’ দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। সেই রাত দখলের আন্দোলনের মুখরা বিজেপিকে হাত নিলেন। স্পষ্ট জানালেন এই অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে তাঁরা বিজেপিকে পাশে চান না।
আজ রবিবার ফের একবার ‘রাতের সভা’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতার শাহাদাত দিবস উপলক্ষে স্কুলে স্কুলে ধর্ষণ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণ করার ডাক দিয়েছেন রাত দখলের আন্দোলনকারীরা।
শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘রাতের দখল, অধিকার দখল’ আন্দোলনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুনমুন বিশ্বাস, শতাব্দী দাস, বৃষ্টি সাহা, ঝিলম রায়, নেহা চক্রবর্তী, সম্প্রীতি মুখোপাধ্যায়রা জানিয়েছেন, “আমাদের কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া নেই। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে ধর্ষণ ও লিঙ্গবৈষম্যকে স্বীকৃতি দেয়। তথ্য বলছে, এ দেশে প্রতিদিন ৯০টি মেয়ের ধর্ষণ হচ্ছে। বিজেপি এবং আরএসএস মতাদর্শগতভাবে ধর্ষণকে তোল্লাই দেয়। তাদের বিরদ্ধেই আমাদের আন্দোলন। বিজেপির মতোন পিতৃতান্ত্রিক নারীবিদ্বেষী দলের নারীবিদ্বেষী কাজ কর্মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি আমরা।”
আর জি কর কাণ্ডে জড়িত দোষীদের শনাক্তকরণ, বিচার, শাস্তি ছাড়াও এদিন একাধিক দাবি জানিয়েছেন মেয়েরা। কি রয়েছে সেই দাবিতে? শতাব্দী দাসের বক্তব্য, “বাংলার কোনায় কোনায় প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যকর পাবলিক টয়লেট তৈরি করতে হবে। গণপরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।” এছাড়াও কিছু আইনি বদল চাইছেন মেয়েরা। ঝিলম জানিয়েছেন, ট্রান্সজেন্ডার পারসন প্রটেকশন অফ রাইটস অ্যাক্ট ২০১৯-এ রূপান্তরকামীদের যৌন নির্যাতনের জন্য নির্ধারিত মাত্র ২ বছরের সাজার কথা রয়েছে। সেই ধারা বদলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ঘোষণা করতে হবে।
ইতিমধ্যেই এক হাজার ব্যক্তির সই করা চিঠি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছেন ‘রাত দখল অধিকার দখল’ আন্দোলনের মেয়েরা। সে চিঠিতে আর জি কর কাণ্ডে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মেয়েরা জানিয়েছেন, “১৪ আগস্ট থেকে বাংলার প্রতিটি কোণা থেকে মেয়েরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা রাস্তায় নেমে নিজেদের কথা বলতে চান। এদের মধ্যেই অনেকেই কোথাও না কোথাও যৌন নিপীড়নের শিকার।”