• শনিবার ডাক্তারদের সঙ্গে কেন বৈঠক হলো না? ব্যাখ্যা মন্ত্রী চন্দ্রিমার
    এই সময় | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ নিয়ে সমস্যা তৈরি হলেও পরবর্তীকালে ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়াও মিনিটস দেওয়ার শর্তে রাজি ছিলেন ডাক্তাররা। সেটা অনেক আগে রাজি হলে শনিবারই বৈঠক হতে পারত বলে জানালেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে, জুনিয়র ডাক্তাররা পুনরায় বৈঠকের জন্য আবেদন করলে সেটা বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানালেন মন্ত্রী।চন্দ্রিমা এদিন জানান, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত কেন চিকিৎসকেরা বৈঠক করলেন না, সে ব্যাপরে তাঁরাই উত্তর দিতে পারবেন। তবে, সরকারের তরফে সবরকম সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয়েছিল। চন্দ্রিমা বলেন, ‘যখন ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর বেরিয়ে যাচ্ছি আমি এবং কয়েকজন আধিকারিকেরা, তখন ওঁরা আলোচনা করবেন বলে জানালেন। তাঁরা তখন কোনও শর্ত রাখছেন না বলে জানান। গতকাল তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে এত যে সময় দেওয়া হলো কেন? তাঁরা যখন সময় বলবেন, তখনই সরকারকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এটা যেন সেরকম ব্যাপার।’ শনিবারের ঘটনার পরেও জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনা করতে চাইলে ভেবে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

    বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘ডাক্তাররা যে প্রতিনিধি দলকে পাঠিয়েছেন, তাঁদেরকে তো সব আন্দোলনকারীরা বিশ্বাস করেন। বিচারাধীন বিষয় বলে লাইভ স্ট্রিমিং না করে সেটার মিনিটস হতো। মুখ্যমন্ত্রীও সেটা বলেছেন। এটা রেকর্ডিং হবে, সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে সেটা দিয়ে দেওয়া হবে। মিনিটসে দুই পক্ষ স্বাক্ষর করবে। সেখানে অন্য কিছু থাকলে অভিযোগ তুলতে পারতেন আন্দোলনকারীরা।’ চন্দ্রিমা এদিন বলেন, ‘ওঁদের কাছ থেকে যদি আবেদন আসে, বৈঠক হলে সবাই জানতে পারবেন।’

    এদিন ফের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন, জনসাধারণের জন্য কাজ করবেন। কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসবেন।’ চন্দ্রিমা এদিনও জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও সরকার কোনও কড়া পদক্ষেপ নেবে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কড়া পদক্ষেপ করতে ইচ্ছুক নন।
  • Link to this news (এই সময়)