• ত্রিপুরায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে দায়িত্ব পেলেন দিলীপ
    এই সময় | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • মণিপুস্পক সেনগুপ্ত

    দলে তাঁর কোনও পদ নেই। ২০২৩-এর জুলাইয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর নতুন করে আর কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি দিলীপ ঘোষকে। যিনি একদা ছিলেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি। এটা নিয়ে দিলীপ-ঘনিষ্ঠদের যথেষ্ট আক্ষেপও ছিল। শেষমেশ, পদহীন হওয়ার ১৪ মাস পর দিলীপ ঘোষকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। সেই দায়িত্ব পালন করতে আগামী সপ্তাহেই আগরতলা উড়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দিলীপ ঘোষের মতো ‘হেভিওয়েট’ নেতার জন্য এই দায়িত্ব নিতান্তই ‘সামান্য’ বলেই মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা।

    বিজেপি সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরানোর পিছনে দলীয় নেতৃত্বের যুক্তি ছিল, যাঁরা লোকসভা ভোটে লড়ছেন, তাঁদের সবাইকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। যদিও ২০১৯-এ যে কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তিনি সাংসদ হয়েছিলেন, সেই মেদিনীপুর থেকে এ বারের ভোটে লড়ার সুযোগ পাননি দিলীপ। তাঁকে টিকিট দেওয়া হয় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনে বড় ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে দিলীপ পরাজিত হন।

    সেই ইস্তকই দিলীপ না-পেয়েছেন দলীয় পদ, না-পেয়েছিলেন সাংগঠনিক দায়িত্ব। সম্ভবত সেই ‘হতাশা’ থেকেই দিলীপকে এ কথাও প্রকাশ্যে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘দু’-তিন মাস অপেক্ষা করব। দল যদি কোনও দায়িত্ব না-দেয়, তবে রাজনীতিকে ‘টা টা বাই বাই’ বলে দেবো!’

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সুকান্ত মজুমদারের পর বঙ্গ-বিজেপির নতুন সভাপতি কে হবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তাই দিলীপ ঘোষও সক্রিয় রাজনীতিকে ‘বাই বাই’ করেননি। দিলীপ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘পার্টির নিচু তলার কর্মীরা দিলীপ ঘোষকেই ফের রাজ্য সভাপতির পদে দেখতে চাইছেন। দিল্লিতেও তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, নেবেন। তবে ত্রিপুরায় দলের একটি কর্মসূচির দায়িত্ব দিয়ে দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের দলে সক্রিয় করা যাবে না।’

    নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে দিলীপ অবশ্য বলছেন, ‘আমি তো কাজের মধ্যেই থাকতে ভালোবাসি। দলের যে কোনও আন্দোলন কর্মসূচিতে আমি অংশ নিয়েছি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবন অভিযানেও শেষ পর্যন্ত ছিলাম। এ বার ত্রিপুরায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেটাও পালন করব।’
  • Link to this news (এই সময়)