মালদার মানিকচকে সাতসকালে বোমাবাজি। বোমার আঘাতে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃত কংগ্রেস নেতার নাম মহম্মদ সইফুদ্দিন আহমেদ। ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।রবিবার সকালে জনবহুল চৌকি ধরমপুর বাজার এলাকায় বোমাবাজির কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মানিকচক থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর বাজারে বাজার করতে গিয়েছিলেন ওই কংগ্রেস নেতা। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কংগ্রেস নেতার দেহ। সইফুদ্দিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। বাজারে উপস্থিত আরও কয়েকজন বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
মানিকচক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কংগ্রেস নেতার দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজির ঘটনায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে বাজার চত্বর। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে বোমাবাজি করা হলো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘পরপর দুটি বোমা ছোড়া হয়েছিল। পেছনের দিক থেকে বোমা মারা হয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতীরা।’ পুরনো শত্রুতার জেরে সইফুদ্দিনকে খুন করা হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। যদিও, ঠিক কী কারণে হামলা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি মৃতের পরিবার। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুষ্কৃতীদের খুঁজে বার করার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
কংগ্রেসের মানিকচক ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ‘সইফুদ্দিন আমাদের কংগ্রেসের মানিকচক ব্লকের জেনারেল সেক্রেটারি। আজ সকাল বেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নাসির ও তাঁর দলবল সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে বোমা-গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নাসির যুক্ত রয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে, মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। নিজেদের মধ্যে বিবাদ। তবে যেই ঘটনা ঘটার পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’