স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাড়ির কাজ করছিলেন অরিত্রের মা। চোখের সামনে মাকে তাড়িদাহত দেখে আর স্থির থাকতে পারনি সে। ছুটে এসে মাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। মা পড়ে যান। এদিকে, টাল সামলাতে না পেরে পাশেই ঝুলতে থাকা একটি বিদ্যুতের তার ধরে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় অরিত্র। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে সে।
ওই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তড়িঘড়ি অরিত্রকে পাণ্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। ততক্ষণে অবশ্য অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। গোটা ঘটনা শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
প্রতিবেশী সুকুর আলি সরকার বলেন, কিশোরের মা মিটার বক্সে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। ছেলে দেখে তাকে বাঁচাতে যায়। মাকে বাঁচিয়ে দিলেও ছেলেকে ধরে নেয়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পড়ে যায়।
হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান,বাড়িতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় ওই কিশোর। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।