সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকতে পারে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। এই যুক্তিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানায় সিবিআই। দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর দুজনেরই তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত।
সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, “শনিবার টালা থানার ওসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উনি ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকাল ১০টা ১০ মিনিটে খবর পান। ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রায় ১১টায়। অথচ দেরিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আঁতাঁত থাকতে পারে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দুজনকে জেরা করা দরকার। আমরা সত্য উদঘাটন করতে চাইছি।” ওসির আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, “আমার মক্কেল (অভিজিৎ মণ্ডল) এখনও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত। কোনও ষড়যন্ত্র হয়ে থাকলে তার উদঘাটন দরকার। তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও কর্তব্যপালনে ব্যর্থতার যে অভিযোগ রয়েছে, তা জামিনযোগ্য়। তাঁকে মোট ৬ বার তলব করা হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই অভিযুক্ত হিসাবে তলব করা হয়নি। অ্যারেস্ট মেমোতেও সেকথা লেখানো হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘মাইট বি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে কি কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়?”
পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, “পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছিল। ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে যা যা করা উচিত ছিল, তা করা হয়নি। ঘটনাস্থলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটও হয়তো হয়েছে। কাকে কাকে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় টালা থানার ওসি এবং আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ফোনে কথা হয়েছে। সম্ভবত অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন দুজনেই।” সে কারণেই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তার কথা আদালতে উল্লেখ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে দুজনকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।