• ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’-এর ইঙ্গিত, সন্দীপ-অভিজিতের ৩ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ
    এই সময় | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদা আদালত। শনিবার রাতেই দু’জনকে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে শিয়ালদা কোর্টে।সিবিআই ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্র এবং সরকারি কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ এনেছিল। আরজি করে চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় এই প্রথম কাউকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আজ আদালতে সিবিআই জানায়, টালা থানার ওসি এখনও পর্যন্ত মূল ঘটনায় অভিযুক্ত নয়। তবে আমার মনে করছি, ‘এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।’ তাঁদের দাবি, আরজি করের ঘটনার প্রথম খবর টালা থানায় আসে সকাল ১০ টায়। কিন্তু টালা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন সকাল ১১টার সময়। এফআইআর রুজু হয়েছিল রাত ১১:৩০টার পরে। সন্দীপের সঙ্গে ওইদিন ফোনে কথোপকথন হয়েছিল টানা থানার ওসির। দু’জনের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই এদিন জানায়, পুলিশ ও সিবিআই বিভাগের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তাঁরা মনে করছেন, টালা থানার ওসিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষ আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। গতকাল রাতে তাঁকে জেল থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। দু’জনকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত এদিন সিবিআই হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করে।

    অন্যদিকে, অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী এদিন আদালতে জানায়, টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে যে ধারাগুলো দেওয়া হয়েছে তা জামিনযোগ্য। ওঁর বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে দেরিতে যাওয়া, এফআইআর দেরিতে দায়ের করার মতো অভিযোগ রয়েছে। তার জন্য বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে। এর জন্য গ্রেপ্তার করা যেতে পারে না। কিন্তু যতবার তাঁকে নোটিশ দিয়ে ডাকা হয়েছে, ততবারই সহযোগিতা করেছেন।

    অভিজিৎ-এর আইনজীবী বলেন, ‘গত ১৪ তারিখ নোটিশ দিয়ে হাজিরা দিতে বলা হলে তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এতবার জিজ্ঞাসা করার পরেও কিছু পাওয়া গেল না কিন্তু গতকাল কী এমন পাওয়া গেল যার জন্য গ্রেফতার করা হল? অভিযুক্তকে কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানার অধিকার রয়েছে।’ শিয়ালদা বার কাউন্সিলের রেজলিউশন নেওয়া হয়েছে, যে এই খুন ধর্ষণের মামলায় যে অভিযুক্তরাই আসবে, তাঁদের বিরুদ্ধে শিয়ালদা আদালতের কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হবেন না। অভিজিৎ মণ্ডলের হয়ে এক আইনজীবী জামিনের আবেদন করতে গেলে আদালত কক্ষের মধ্যেই বিরোধের মুখে পড়তে হয়।
  • Link to this news (এই সময়)