• খুন হওয়া দলীয় কর্মীকে শহিদের মর্যাদা দিলেন মানিক ভট্টাচার্য, নতুন মেজাজে বিধায়ক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এখন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তাই নিজের বিধানসভা এলাকায় এসেছেন। এখানেই জমির দখল নিয়ে বিবাদে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এবার তাঁকে ‘শহিদ’ বলে সম্বোধন করলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। শনিবার সন্ধ্যাবেলায় নাকাশিপাড়া থানা এলাকার হরনগর গ্রামে সভা করেন তিনি। তার পর ওই মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে দেখা করতে যান মানিক ভট্টাচার্য। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন জামিনে মুক্ত মানিক। আর এই ঘটনাকেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা ২৩ মাস জেলে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। শনিবার দুপুরে তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় আসেন। এখানে দলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারপর নেতা–কর্মীদের নিয়ে যান হরনগরে। সেখানে একটি পথসভা করে জমির দখল নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জাহিদুল শেখের বাড়িতে যান মানিক ভট্টাচার্য। আর ওই সভা থেকেই জহিদুলকে ‘শহিদ’ বলে তকমা দেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি, ‘যে দিন ঘটনার কথা শুনেছিলাম, সে দিন জুব্বার ভাইকে ফোন করে বলেছিলাম, প্রত্যেক এলাকায়–গ্রামে একটা করে যদি জাহিদুল থাকে তবে দিদিকে বলে দিতে পারি, আগামী ৪০ বছর এই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভিত কেউ নড়াতে পারবে না।’

    এখানেই শেষ নয়, জাহিদুলের কথা বলার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘নিজের চোখের মণির মতো ভালবাসতাম জাহিদুলকে। জাহিদুল নেই খবর পেতেই আমার বুকের হাড়গুলি মড়মড় করে ভেঙে গিয়েছে। জুব্বার ভাইকে বলেছিলাম, জেল থেকে যেদিন মুক্তি পাবো তারপর দিনই আমাদের শহিদের বাড়িতে যাব। আমরা সবাই তাঁর পরিবারকে বার্তা দেব যে তৃণমূল কংগ্রেস একটি পরিবার। আমরা সবাই তাদের পাশে আছি।’ গত ৩ এপ্রিল রাতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জুব্বারের ব্যক্তিগত গাড়িতে হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা তাগিরা বিবি, তাঁর পুত্র রকিব শেখ এবং প্রতিবেশী আদ্রুপ শেখকে নিয়ে বেথুয়াডহরিতে ইদের বাজার করতে গিয়েছিলেন জাহিদুল। রাতে ঘুনির মোড় অতিক্রম করতেই তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা গাড়ির দরজা খুলে চার যাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাহিদুলের।

    সেই জাহিদুলের বাড়িতে এবার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এলেন মানিক ভট্টাচার্য। দেখা করলেন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং শহিদের মর্যাদাও দিলেন। যা নিয়ে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের খোঁচা, ‘নিজে তো আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তিনিই আবার এক দুষ্কৃতীকে শহিদের মর্যাদা দিলেন। এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি হল গুন্ডা এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখার সংস্কৃতি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)