• মানিকচকে বোমাবাজি, খুন কংগ্রেস নেতা, তদন্তে নেমে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রাজনৈতিক হিংসায় বাংলায় ফের ঝরল রক্ত। চলে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মালদার মানিকচকে আজ সকালে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা। নিহত কংগ্রেস নেতার নাম মহম্মদ সইফুদ্দিন। জানা গিয়েছে, আজ সাতসকালে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। চৌকি ধরমপুর বাজার এলাকায় খুন হন সইফুদ্দিন। সেই এলাকাটি বেশ জনবহুল। এই আবহে সেখানে সকাল সকাল বোমাবাজির ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত মানুষজন। পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশ। খুন হওয়া কংগ্রেস নেতার দেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা।

    জানা গিয়েছে, নিহত নেতা মহম্মদ সইফুদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমে অনুমান করছে, তাঁকে খুন করার উদ্দেশেই এই বোমাবাজি করা হয়েছিল। তবে কী কারণে, কারা এই বোমা মেরেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহে আরও তদন্ত করছে পুলিশ। অপরদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। এদিকে দাবি করা হচ্ছে, আগেও সইফুদ্দিনের পরিবারের এক জনকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল। সেটা অবশ্য পুরনো শত্রুতার জেরে করা হয়েছল। তবে বর্তমানে সইফুদ্দিন খুনের ঘটনায় দলের যুক্ত থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ঘটনায় উঠে আসছেন নাসিক নামক এক ব্যক্তির নাম। অভিযোগ, সে তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত।

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সভা, মিছিল বা কর্মসূচি হচ্ছে। এই আবহে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। এরই মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীদের। এরই মাঝে মানিকচকে খুন হলেন কংগ্রেস কর্মী। তবে এই খুন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কারণে কি না, তা জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে নিহত সইফুদ্দিনের এক আত্মীয় ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, তিনি আজ সকালে বাজারে গিয়েছিলে। সেই সময় পিছন দিক থেকে পিঠে দুটো বোমা মেরেছে দুষ্কৃতীরা। রক্তে ভেসে গিয়েছে রাস্তা। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মানিকচকের এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত। এর আগে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের এক নেতা সেখানে খুন হয়েছিলেন। তখন অভিযোগের আঙুল উঠেছিল হাত শিবিরের দিকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)