কী থেকে এতবড় কাণ্ড। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজনকে নিয়ে ভগবানপুর কাজলাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে একদল লোক। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন। আহত ব্যক্তির কলার বোন ভেঙে যায়। শরীরে অন্যান্য জায়গায় চোটও রয়েছে। রোগীর এক্স রে করতে হবে। সেই ব্যবস্থা ভগবানপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই। প্রাথমিক চিকিত্সার পর ওই রোগীকে তমলুকে রেফার করেন মিন্টু দে নামে ওই চিকিত্সক। কেন ওই রোগীকে তমলুকে রেফার করা হল তা নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। শুরু হয়ে যায় ওই চিকিত্সককে মারধর। মারের চোটে গুরুতর আহত ওই চিকিত্সক। তার নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়।
এদিকে, গোলমালের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে ভগবানপুর থানার পুলিস। খবর পেয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মারধরের ঘটনা নিয়ে ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ডা মিন্টু দে। অভিযোগ, তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে, কানে শুনতে পারছেন না। মুখ কেটে গিয়েছে হামলাকারীর নাম রতন ঘোড়ুই। তার নেতৃত্বে পাঁচজন মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে বের হলে আরও মারধর করা হবে।
আক্রান্ত চিকিত্সক মিন্টু দে বলেন, ওই লোক আগেও অনেকবার এসেছে। একবার এসেছিল এক পায়খানা বমির রোগী নিয়ে । হাসপাতালে যে ওষুধ ছিল তা তাকে দেওয়া হয়। কিন্তু পায়খানা কমেনি। সেইজন্য রিফাগাড নামে একটি ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হয়। তা নিয়েও উনি ঝামেলা করেন। কেন ওষুধ কিনতে হবে। যে ওষুধ আমার কাছে নেই তা বাইরে থেকে আনতে হবে। তা নিয়েও উনি ঝামেলা করেছিলেন। ওর নাম রতন ঘোড়ুই