দেশের কোন জনপ্রতিনিধির কাছে এরকম আন্তর্জাতিক আমন্ত্রণ এলে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র লাগে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অনুমতি লাগে। নবান্নের পক্ষ থেকে বিদেশ যাত্রার অনুমতি পেয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের 'ফরেন ব্রাঞ্চ'এর অনুমতি প্রয়োজন হয়। অমিত শাহের মন্ত্রক সেই অনুমতিও দিয়ে দেয়। অবশেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক সেই অনুমতি না দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মস্কো যাত্রা বাতিল হল। জানা গিয়েছে,'রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ'এর দিক থেকে বিচার করে তাঁকে এই ছাড়পত্র দেয়নি বিদেশমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, মস্কোতে এই সম্মেলনে যোগদান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অংশগ্রহণ করবেন ব্রিকস এর অন্যান্য সদস্যদেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। এই ধরনের আন্তর্জাতিক মঞ্চে কেন কলকাতার মেয়রকে যেতে বাধা দেওয়া হল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর আগেও ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের চিন সফরে শেষ মুহূর্তে এসে বিদেশযাত্রার ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।