মীনাক্ষী বলেন, 'আমাদের তো উল্টো প্রশ্ন। আমাদের প্রশ্ন, কুণাল ঘোষের প্রেস বিবৃতিতে পুলিস নড়ল? নাকি পুলিস ঠিক করে দিল যা করার কুণাল ঘোষ করবে? পুলিস কমিশনার নাম কি বিনীত গোয়েল থেকে পালটে কুণাল ঘোষ হয়ে গেল? আর কুণাল ঘোষ, সে একজন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র, তিনি পুলিসকে নির্দেশ দিচ্ছেন! তাহলে কি ২.৪৭ ঠিক কথা বলছে, নাকি ৪.৪৭ ঠিক কথা বলছে'। সঙ্গে দাবি, 'এই ক্লিপিংস কুণাল ঘোষকে কে দিল? সেটা পুলিসকে বার করতে হবে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতেই অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্নের পর এবার যখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে গেল কালীঘাটেও, তখন ফের অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার আগে শনিবার সন্ধেয় ধরনামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের নিজস্ব বৈঠকের অংশ। আপাতত এই অংশ দিলাম। এতে স্পষ্ট, একাংশ সমাধান চায়, একাংশ চায় না'।
এর আগে, ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে হামলার আশঙ্কা করে যে অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন কুণাল, সেই অডিয়ো ক্লিপের সূত্রেই DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। পুলিসের দাবি, অডিয়ো ক্লিপে একটি কণ্ঠস্বর কলতানের। এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতার কোনও সংশয় নেই। এটা একেবারে সত্যি ঘটনা। এটা হয়েছে। সেটা টেকনিক্যালি যাচাইও করা হয়েছে। অডিয়োর সত্যতাও যাচাই করা হয়েছে।
মীনাক্ষী বলেন, 'আমাদের দাবি, নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি দেওয়া। কলতান সমেত জুনিয়র ডাক্তারবাবু, গোটা রাজ্যের মানুষের একটাই দাবি, নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি যতক্ষণ না হচ্ছে, কলকাতা জিসিতে থাকুন, পিসিতে থাকুন আর রাস্তায় থাকুক, কলতানের লড়াই এক চুল কমবে না'।