সমাধান কোন পথে? তৃতীয়বারের চেষ্টা ব্যর্থ! নবান্নে নয়, এবার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। কবে? গতকাল, শনিবার সন্ধ্যায় ৬টা। কিন্তু আবার সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতেই অনড় থাকলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বাড়ির বাইরে এসে আন্দোলনকারীর বৈঠকে বসার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কিন্তু তাতে জট খোলেনি। শেষপর্যন্ত একে একে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ বাকিরা।
এর আগে, দু'বার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফেসবুক কুণাল লেখেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তা যথেষ্ট ইতিবাচক। শনিবার আন্দোলনকারীরা যতটা সময় নষ্ট করালেন নিজেদের জেদে, মুখ্যমন্ত্রীর করজোড় অনুরোধেও সাড়া দিলেন না; সেসব থেকে বেরিয়ে তাঁরা কাজে ফিরুন, আন্দোলন চলুক বিকল্প পদ্ধতিতে'।
এদিকে ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে হামলার আশঙ্কা করে যে অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন কুণাল, সেই অডিয়ো ক্লিপের সূত্রেই DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। পুলিসের দাবি, অডিয়ো ক্লিপে একটি কণ্ঠস্বর কলতানের। এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতার কোনও সংশয় নেই। এটা একেবারে সত্যি ঘটনা। এটা হয়েছে। সেটা টেকনিক্যালি যাচাইও করা হয়েছে। অডিয়োর সত্যতাও যাচাই করা হয়েছে।
যেদিন এই অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ্যে আসে, সেদি রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জীব দাস বলে একজনকে। পুলিস জানিয়েছে, অডিয়োয় আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। দাদু, সাহেব নামে কিছু নাম উঠে এসেছে। এই নামগুলি কারা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।