• গভীর সমুদ্র থেকে ফেরার পথে অঘটন! নিখোঁজ তিনটি ট্রলারের অন্তত ৪৯ মৎস্যজীবী
    প্রতিদিন | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দুর্যোগের সতর্কবার্তা পেয়ে গভীর সমুদ্র থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ তিনটি ট্রলার। তিনটি ট্রলারে মোট ৪৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রলারগুলির খোঁজে মৎস্যদপ্তর ইতিমধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানিয়েছে। তল্লাশিতে নেমেছে কোস্ট গার্ড।

    কাকদ্বীপ ঘাট থেকে এফবি বাবা নীলকন্ঠ ও ডায়মন্ডহারবার মৎস্যবন্দর থেকে এফবি শ্রী হরি ও এফবি মা রিয়া নামে তিনটি ট্রলার মাছ ধরতে গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। নিম্নচাপের জেরে ঝোড়ো হাওয়া ও সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে আবহাওয়া দপ্তরের এই সতর্কবার্তা পেয়ে ট্রলার গুলি উপকূলের দিকে ফিরছিল। মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে ওই ট্রলার তিনটির সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, বহু চেষ্টা করেও ট্রলারগুলির হদিশ না মেলায় বিষয়টি সংগঠনের তরফে মৎস্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে।

    তিনি জানান, ওই তিনটি ট্রলারে মোট ৪৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ট্রলারটিতে ১৬ জন এবং ডায়মন্ডহারবার থেকে মাছ ধরতে যাওয়া দু’টি ট্রলারের একটিতে ১৪ জন ও অন্যটিতে ১৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহকারি মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক, ডায়মন্ডহারবার) সুরজিৎ কুমার বাগ জানিয়েছেন, মৎস্যজীবী সংগঠনের কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই তিনটি ট্রলারের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়। উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু’টি জাহাজ ট্রলার তিনটির সন্ধানে তল্লাশিতে নেমেছে। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও হদিশ মেলেনি। উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

    এদিকে অসমর্থিত সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার হদিশ না মেলা একটি ট্রলারের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে একবার যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়েছিল। তখনই জানা গিয়েছিল জম্বুদ্বীপের কাছাকাছি স্থানে তাঁদের ট্রলার গুলির কোনওটিতে বাজ পড়ে আবার কোনও ট্রলারে যান্ত্রিক গোলযোগ হয়ে তাঁদের ট্রলারগুলি গভীর সমুদ্রে আটকে রয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি মৎস্যজীবীরাও নিখোঁজ ট্রলারগুলির সন্ধানে তল্লাশিতে নামার প্রস্তাব দেওয়া হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে মৎস্য দপ্তর থেকে সেই অনুমতি মেলেনি। ট্রলার তিনটির নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মৎস্যজীবীদের পরিবারে গভীর উদ্বেগের ছায়া।
  • Link to this news (প্রতিদিন)