এই সময়: ওঁরা প্রত্যেকেই মা। কারও কারও সন্তান এখনও ঠিক করে হাঁটা শেখেনি। কেউ আবার ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে, চিনতে শিখছে এই সমাজকে। কারও সন্তান পড়াশোনার সূত্রে বাইরে থাকে। ওঁদের মধ্যে কেউ মেয়ের মা, কেউ ছেলের মা। কিন্তু উদ্বেগ ওঁদের সবারই এক।সেই উদ্বেগ থেকে চাহিদাটাও এক। সুন্দর, সুরক্ষিত একটা পৃথিবীতে ওঁরা রেখে যেতে চান নিজেদের সন্তান-সন্ততিকে। আর সেই তাগিদ থেকেই আরজি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নামলেন মায়েরা।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রবল বৃষ্টি মাথায় করেই এই মিছিল শুরু হয় দক্ষিণ শহরতলির ইএম বাইপাস লাগোয়া মাইক্রো টাউনশিপ হাইল্যান্ড পার্ক থেকে, শেষ হয় প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরের এক প্রান্তে থাকা আবাসন অভিষিক্তা-র কাছে পৌঁছে।
মায়েদের এই মিছিলের অন্যতম আয়োজক, পেশায় মেকআপ আর্টিস্ট প্রিয়া গুপ্ত তাঁর দুই মেয়ে আয়ুষ্মিতা ও অনুশ্রীকে নিয়ে এসেছিলেন। বড় মেয়ে আয়ুষ্মিতা আগামী বছর দ্বাদশের পরীক্ষা দেবে। তার ইচ্ছে, নিট পাশ করে ডাক্তারি পড়ার।
মেয়েদের হাত ধরে মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে প্রিয়া বলছেন, ‘আমরা রাজনীতির কথা বলতে পথে নামিনি। আমরা এক সুরক্ষিত পৃথিবীর দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। আর সেই সুরক্ষা তখনই আসবে, যখন আরজি করের নির্যাতিতার খুনিরা সাজা পাবে।’
মায়েদের মিছিলে একটি পোশাকের বুটিকের কর্ণধার, কেষ্টপুরের ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান— ‘উৎসব না-হয় এ বার থাক, তিলোত্তমা বিচার পাক!’ ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘আমরা, মায়েরা এই মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম ঠিকই। তবে এতে বাবারাও সমান ভাবে ছিলেন।’