• ‘দাদু’, ‘বাপ্পাদা’, ‘সাহেব’ এরা কারা?‌ অডিয়ো ক্লিপের সূত্র ধরে তদন্তে নামল পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘‌উই ওয়ান্ট জাস্টিস’‌। তার মধ্যেই একটি অডিয়ো ক্লিপ সামনে এসেছে। যা নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এরপরই গ্রেফতার হন কলতান দাশগুপ্ত, সঞ্জীব দাস। এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এই অডিয়ো ক্লিপ যাচাই করেছে কলকাতা পুলিশ। যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। সেখানেই উঠে আসে ‘দাদু’, ‘বাপ্পাদা’ এবং ‘সাহেব’–এর কথা। কিন্তু এরা কারা?‌ এবার সেটা খুঁজতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

    আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিচার চেয়ে প্রায় ৩৫ দিন ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এখনও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক হয়নি। যার জেরে এখনও রফাসূত্র বের হয়নি। এমন আবহে রহস্যময় এই ব্যক্তিরা কারা তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। এই তিনজনের পরিচয় এখনও অজানা। তবে ওই কথোপকথনে যা উঠে এসেছে, তাতে এই তিনজনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ‘সাহেব’ই নির্দেশ দিয়েছিলেন সল্টলেকে হামলা করার জন্য। একজন নির্দেশ দেন হামলা করতে। সেখানে ‘বাপ্পাদা’ ও ‘দাদু’ দু’টি নাম উঠে এসেছিল। এমনই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ।

    ইতিমধ্যেই সিপিএম নেতারা অনেক চেষ্টা করেও কলতান দাশগুপ্তর কৃতকর্মকে ঢাকা দিতে পারছেন না। কিন্তু এই নামগুলি না জানতে পারলে গত মাসের ১৪ তারিখে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে না। এই বিষয়ে বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার বলেন, ‘‌তদন্তের সময় এঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। আইনানুগ পদ্ধতি অনুযায়ী তদন্ত হবে। অডিয়ো ক্লিপে আমরা আরও তিনজনের নাম পেয়েছি। সাহেব, দাদু এবং বাপ্পাদা। তাঁরা কারা এবং এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে তাঁরা কী ভাবে যুক্ত সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।’‌

    শনিবারই স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দিদি হিসেবে এসেছেন তিনি। তাতে রফাসূত্র এখনও বের হয়নি। কিন্তু কুণালের প্রকাশ করা অডিয়ো ক্লিপে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘সাহেব অর্ডার করেছে সল্টলেক ওড়ানোর জন্য।’ দ্বিতীয় ব্যক্তি তখন বলেন, ‘অর্ডার হলে করে দে।’ পাল্টা প্রথম ব্যক্তির কথা, ‘যারা পার্টনার আছে সবাই প্রশ্ন করছে?’ দ্বিতীয় ব্যক্তি বক্তব্য, ‘কিছু ভেবেই তো বলেছে।’ আবার প্রথম ব্যক্তি বলছেন, ‘এত বছর এই কাজ করেছি। কোনও দিন ভয় লাগেনি। কিন্তু এখন বিবেকে লাগছে। করাটা কি ঠিক হবে? ওরা তো মানুষের জীবন বাঁচায়।’ দ্বিতীয় ব্যক্তির ধমক, ‘‌তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।’‌ নরম সুরে প্রথম ব্যক্তি জানান, ‘‌ছেলেরা মদ খেয়ে যায়। মারতে গিয়ে যদি কিছু হয়ে যায়, সেটা তো চিন্তার বিষয়।’‌ পাল্টা দ্বিতীয় ব্যক্তির পরামর্শ, ‘সেটা ওকে বল, আমার এমন মনে হচ্ছে, কী করব?’‌ এমন সব কথা শোনা গিয়েছে অডিয়ো ক্লিপে বলছে পুলিশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)