• রামপুরহাটে প্রথম থামল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই স্টেশনে ভিড়, সেলফি তোলার হিড়িক স্থানীয়দের
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাটে প্রথমবারের জন্য থামল বন্দেভারত এক্সপ্রেস। সেমি হাইস্পিড এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দেখতে ও স্পর্শ করতে সোমবার বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষের আকাশছোঁয়া উৎসাহ দেখা যায়। 

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে হাওড়া-নিউ জলাপাইগুড়ি রুটে চালু হয় বন্দেভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বোলপুরে স্টপেজ দিলেও রামপুরহাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে স্টপেজ ছিল না। এতে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। অবশেষে বন্দেভারতের স্টপেজ পেল রামপুরহাট জংশন। এদিনই ভাগলপুর- হাওড়া বন্দেভারত এক্সপ্রেসের ট্রয়ালরান হয়। তাতে রামপুরহাট জংশনে স্টপেজ রয়েছে। এই উপলক্ষ্যে রেলের তরফে রামপুরহাট জংশনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, দুবরাজপুর বিধায়ক অনুপ সাহা প্রমুখ। 

    ট্রেনটির বিকেলে ৩টে বেজে ৫৫ মিনিটে রামপুরহাট জংশনে প্রবেশ করার কথা ঘোষণা করা হলেও প্রায় ২৫মিনিট দেরিতে ঢোকে। কারণ, ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা জয়নগর-হাওড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। প্ল্যাটফর্ম খালি না থাকায় আউটারে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বন্দেভারতকে। রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজার হাদিউজ্জামান বলেন, প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। 

    এদিন বন্দেভারত ট্রেনটি দেখতে প্রচুর মানুষ স্টেশন চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন। বিকেলে ৪টে বেজে ২০ মিনিটে বন্দেভারত প্রবেশ করতেই মোবাইল বন্দি করতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। আরপিএফের মহিলা পুলিস কর্মীরাও সেল্ফিতে মজেন। বন্দেভারতের চালক ও গার্ডদের চন্দনের টিকা ও মালা পরিয়ে বরণ করে নেন উপস্থিত রেলের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। অনেকেই কামরায় চড়ে ভিতরেও সেল্ফি ও ছবি তোলেন। রামপুরহাটের গৃহবধূ সুদক্ষিণা দাস বলেন, এবার বন্দেভারতের সফরের স্বাদ মিটবে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে প্রতিদিন চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ৭টা বেজে ৪৫মিনিটে হাওড়ায় ছাড়বে। পরবর্তী স্টপেজ বোলপুর। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে রামপুরহাটে প্রবেশ করবে। ট্রেনটি দুমকা হয়ে ভাগলপুর পৌঁছবে দুপুর ২ টো ৫ মিনিটে। ফের ৩টে ২০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রামপুরহাট আসবে। রাত ৯টা ২০ মিনিটে হাওড়া পৌঁছবে। রামপুরহাটের বাসিন্দা মিঠু বোথরা বলেন, গণদেবতা এক্সপ্রেসের পর হাওড়া যাওয়ার ট্রেন গভীর রাতে ছিল। মাঝে বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন পাওয়ায় আমরা খুশি। অনুপ সাহা বলেন, ভারতীয় রেলকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিছু মানুষ লাইনের উপর নানা বস্তু রেখে দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মানুষকেই সচেতন হবে। তবে করোনাকালে বন্ধ 

    থাকা ট্রেনগুলি চালু এবং আহমদপুর-কাটোয়া লাইনে নতুন ট্রেন, সাঁইথিয়া-অণ্ডাল ট্রেন পরিষেবা বৃদ্ধি হলে ভালো হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)